বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় আর্জেন্টিনা, সঙ্গে থাকবে আরও তিন দেশ


দক্ষিণ আমেরিকার চার দেশ যৌথভাবে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজনের আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা বিডে অংশ নেবে। বিশ্বকাপের প্রথম বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার আশা করছে তারা। চারটি দেশ হচ্ছে– আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে ও চিলি।

মন্টেভিডিওর সেন্টেনারিও স্টেডিয়ামে ১৯৩০ সালে প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থার সভাপতি আলেজান্দ্রো ডোমিনগুয়েজ এ ব্যাপারে বলেন,  ‘এটি সরকারের প্রকল্প নয়, পুরো মহাদেশের স্বপ্ন। অন্যান্য বিশ্বকাপ হবে, ১০০ বছর উদযাপন করা হবে।’

২০৩০ বিশ্বকাপের বিডের ধারণাটি প্রথম উরুগুয়ে ও র্জেন্টিনা ২০১৭ সালে উত্থাপিত করে। পরে আরও দুটি দেশ যোগ হয়।

বিশ্বকাপকে তার প্রথম বাড়িতে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে চারটি দেশের ফুটবল সংস্থা এক জায়গায় পৌঁছেছে।

উরুগুয়ে ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এউএফ) সভাপতি ইগনাসিও আলোনসো বলেন, ‘বিশ্বকাপের ধারণাটি উরুগুয়েতে প্রায় ১০০ বছর আগে চিন্তা। আশা করছি আমরা সফল হবো।’

উরুগুয়ের ক্রীড়া মন্ত্রী সেবাস্তিয়ান বাউজা বলেন, ‘চারটি দেশ বিড করতে ২০২৩ সালের মে মাসে ফিফার কাছে উপস্থাপন করবে। পরের বছর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা একটি টেকসই বিশ্বকাপ আয়োজন করত চাই।’

এএফপির খবরে জানা গেছে, স্পেন ও পর্তুগাল যৌথ বিড জমা দিয়েছে। যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ড যৌথ বিড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইনের পাশাপাশি ও ইসরায়েল বিডের অংশ নেওয়ার আলোচনা চলছে।

২০৩০ সালের টুর্নামেন্টে ৪৮ দেশ অংশগ্রহণ করবে। ৮০টি ম্যাচ ১৪টি স্টেডিয়ামে হবে।

এই বছরের শেষ দিকে কাতার বিশ্বকাপ আটটি ভেন্যুতে হবে। ৬৪টি ম্যাচ খেলবে ৩২টি দল।

১৯৩০ সালে শুধু ১৩টি দল ছিল, পুরো টুর্নামেন্ট একই শহরে, মন্টেভিডিওর মাত্র তিনটি স্টেডিয়ামে খেলা হয়েছিল।

২০২৬ সালের টুর্নামেন্ট হবে তিন দেশে – কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রে। দক্ষিণ আমেরিকায় সর্বশেষ বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছিল ব্রাজিলে ২০১৪ সালে। ২১টি বিশ্বকাপের অর্ধেকেরও বেশি টুর্নামেন্ট ইউরোপে হয়েছে।