ব্রক্ষপুত্র নদের করাল গ্রাসে সর্বহাড়া হাজারো মানুষ পরিদর্শনে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ভাঙন রোধের আশ্বাস


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলাধীন, রৌমারী-চর রাজিবপুরসহ দুটি উপজেলার হাজারো মানুষ ব্রক্ষপুত্র নদের করাল গ্রাসে সর্বহাড়া হয়ে অন্যের ভিটায় আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

তারই ধারাবাহিকতায় নদীর তীরঘেষা ভাঙন কবলিত এলাকার, সর্বহাড়াদের পরিদর্শন করতে জান গনশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

পরিদর্শনকালে সর্বহাড়াদের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ব্রহ্মপুত্র নদের বাম ও ডান তীরঘেষা মানুষদের আর কাঁদতে হবে না। ব্রহ্মপুত্র নদীর দু’পাশের যেসব স্থানে বিগত দিনে যেসব এলাকার মানুষ ভাঙনের কবলে সর্বহাড়া হয়েছে। ওইসব স্থানে ভাঙন রোধে ৩৭৯ কোটি ২৩ লাখ টাকার কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান।

তিনি আরও বলেন, যেসব স্থানে নতুন করে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সেসবস্থানেও জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। অপরদিকে একনেকে চিলমারী নৌ-বন্দর নির্মাণের জন্য ২৩৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকার প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।

রোববার (৪ জুলাই) দুপুরের দিকে রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের ভাঙন কবলিত ঘুঘুমারী নামকস্থানের ব্রহ্মপুত্র নদের বাম তীরে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধন কালে এসব কথা বলেছেন তিনি।

উদ্বোধন শেষে রৌমারী উপজেলার খেদাইমারী, বলদমারা, চিলমারী উপজেলার নয়ারহাট, চর রাজিবপুরের কোদালকাটি ইউনিয়নের ভাঙ্গন কবলিত এলাকাও পরিদর্শন করেন।

এসময় লক্ষ করা গেছে নদী ভাঙনে সর্বহাড়াদের আর্তনাথ আর হারভাঙ্গা হাহাকার। বাপদাদার ভিটামাটি হাড়িয়ে আছ অন্যের বাড়ির বাসতোলা,সড়কের পাশে খোলাকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।

এ সময় উপস্থিতি ছিলেন পাউবোর রংপুর বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী জ্যোতি প্রসাদ ঘোঁষ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুস শহীদ, কুড়িগ্রাম পাউবোর নিবার্হী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম, উপ-প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম,চর রাজিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আকবর হোসেন হিরো, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, চর শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল মাষ্টারসহ আরো অনেকেই।