বড় শাস্তি পেতে হলো মুশফিককে


আম্পায়ার গাজী সোহেল ও মাহফুজুর রহমান রিপোর্ট না দেয়ায় গতকাল (সোমবার) রাতে কিছু হয়নি। তবে ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান কাল জেমকন খুলনা আর গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের ম্যাচ শেষেই জানিয়েছিলেন, ‘আম্পায়াররা রিপোর্ট দিলেই আমি অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।’

তিনি বলেছিলেন, ‘যেহেতু ক্রিকেটার, আম্পায়ার ও ম্যাচ রেফারি সবাই মিলে সোনারগাঁও হোটেলে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ভেতরে আছেন, তাই আম্পায়ার্স রিপোর্ট মঙ্গলবারও আসতে পারে।’

তাই এসেছে। আজই রিপোর্ট দিয়েছেন দুই আম্পায়ার। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ম্যাচ রেফারি রকিবুল হাসান। মঙ্গলবার বিকেল নামতেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হয়েছে, বেক্সিমকো ঢাকা অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের অর্থদণ্ড হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে এলিমিনেটর ম্যাচে নিজ দলের বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে দুবার মারতে উদ্যত হওয়ার অভিযোগে ম্যাচ ফি’র ২৫ ভাগ কাটা গেছে মুশফিকের। বিসিবির আচরণবিধির লেভেল ওয়ানে ২.৬ ধারায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি। মুশফিক দোষ স্বীকার করে নেয়ায় নতুন করে শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।

শুধু জরিমানাই নয়। মুশফিকের ডিসিপ্লিনারি রেকর্ডে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও যোগ হয়েছে। আচরণবিধির অনুচ্ছেদ ৭.৫ অনুযায়ী, যদি তিনি এই টুর্নামেন্টে চার বা তার বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পান, তবে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞায় পরিণত হবে সেটি।