মঙ্গোলিয়ায় সামুদ্রিক উদ্ভিদ বাকর্থনের বর্জ্যে চাষ হচ্ছে ঔষধি মাশরুম


মঙ্গোলিয়ায় মনখজারগাল নামে এক মাস্টার্সের ছাত্র, সফলভাবে বিশ্ব-খ্যাত এবং ব্যয়বহুল মাশরুম চাষ করেছে। ’ওর্ম গ্রাস’ নামে পরিচিত কর্ডিসেপস মিলিটারি নামের এ মাশরুম; পশুর বর্জ্য, সামুদ্রিক বাকথর্নের ডালপালা এবং বীজের বর্জ্য ইত্যাদি অনেক ঔষধি পদার্থে সমৃদ্ধ একটি ভোজ্য মাশরুম। সংবাদ সূত্র: A24 News Agency

মাশরুম সম্প্রতি ঔষধি পদার্থ বের করতে এবং বিভিন্ন জৈবিক পরিপূরক, প্রসাধনী এমনকি পশু চিকিৎসা ওষুধেও ব্যবহার করা হচ্ছে। ’কালটিভেটেড মাশরুম ভ্যালু চেইন’ এনজিও-এর অধীনে মাশরুম চাষীদের একত্রিত করা মনখজারগালের লক্ষ্য। তিনি বলেন, “মঙ্গোলিয়ানরা মাশরুমের খাবার খেতে পছন্দ করে। কেউ মাশরুম পছন্দ করে না এমনটা পাওয়া যাবে না। কিন্তু তারা জানে না কিভাবে মাশরুম জমা করে রাখতে হয় এবং তা ব্যবহার করতে হয়। এখানটায় জ্ঞানের কমতি আছে। এজন্য আমরা এ সংক্রান্ত জ্ঞান দিতে চাই।

যারা মাশরুম উৎপাদন করে শুধুমাত্র তারাই এর উৎপাদন সম্পর্কে জানে। কিন্তু তারা আবার বিজ্ঞাপনের কাজ জানে না। এজন্যই আমরা একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা বলতে পারি যে আমরা বাজারজাতকরণ, প্রযুক্তিগত উন্নয়ন এবং ফলন বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছি।” তার চাওয়া চাষীরা চাষ করা মাশরুমের গুরুত্ব সম্পর্কে যেন সচেতন হয়।

পাশাপাশি মাশরুমের ফলন বৃদ্ধি করা এবং ঔষধি ও অন্যান্য নতুন প্রজাতির মাশরুমের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষণা জোরদার করা তার এনজিও’র লক্ষ্য। তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের ভোজ্য মাশরুম উৎপাদন বাড়াতে হবে এবং সেগুলি নিজেরাই খেতে হবে।

আজ আমরা যে খাবার খাই তাতে পুষ্টির পরিমাণ খুবই কম, তাই আমরা আমাদের খাবার থেকে যে পুষ্টি পাই তা শরীরের জন্য যথেষ্ট নয়। এজন্য আমরা আমাদের পুষ্টি উন্নত করতে চাই, সুস্থও থাকতে চাই। তাই ভোজ্য মাশরুম নিয়ে গবেষণা এখন চলছে। উদাহরণস্বরূপ, ঔষধি মাশরুমের ক্ষেত্রে, আমরা ওর্ম গ্রাস আমদানি করি। এটি একটি মাশরুম ভিত্তিক পণ্য। এর প্রধান কাঁচামাল কর্ডিসেপস মাশরুম।

কিন্তু আমাদের দেশে কর্ডিসেপস মাশরুম জন্মাতে কী ধরনের কাঁচামাল ব্যবহার করা যেতে পারে? তখন আমি চিন্তা করি, মঙ্গোলিয়ার ইউভিএস বেসিনের চারপাশে সামুদ্রিক বাকথর্ন ফলটি উচ্চ ভিটামিন সি সামগ্রীর জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। তাই আমরা সামুদ্রিক বাকথর্ন বর্জ্যে ঔষধি মাশরুমের উৎপাদন বাড়ানোর ব্যাপারগুলি অধ্যয়ন করছি। যেটির মূল কাজও একই।”

উল্লেখ্য, ভোজ্য মাশরুমের দাম ৫ ডলার আর ঔষধি মাশরুমের দাম ৫০০ ডলার।