যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোতে নিহত বেড়ে ২৬, বিদ্যুৎহীন হাজারও মানুষ


যুক্তরাষ্ট্রে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত এক বাড়ির সামনে কাঁদছেন এক নারী। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের পানায় নিউজ নামক অ্যাকাউন্ট থেকে নেওয়া

যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য পশ্চিমাঞ্চলের শহরগুলোতে ধারাবাহিক টর্নেডোর আঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেশ। উপড়ে পড়েছে গাছপালা। ধ্বংস হয়েছে বাড়িঘর। বিদ্যুৎহীন কয়েকটি রাজ্যের হাজার হাজার বাসিন্দা। আজ রোববার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, টর্নেডোর আঘাতে আরকানসাস, টেনেসি, ইলিয়নিস, ইন্ডিয়ানা, আলাবামা ও মিসিসিপিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। আরাকানসাসের ওয়েন শহরে ১৭০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) গতিবেগে একটি ঝড় বয়ে গেছে। এতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে শহরটি।

স্থানীয় বাসিন্দা ও গৃহিণী অ্যাশলি ম্যাকমিলান বিবিসিকে বলেন, ‘টর্নেডোর সময় আমি, আমার স্বামী, আমাদের সন্তানেরা ও আমাদের কুকুর একটি ছোট টয়লেটে আশ্রয় নেয়। আমরা সেখানে প্রার্থনা করছিলাম ও একে অপরকে বিদায় জানাচ্ছিলাম। আমাদের সবার ধারণা ছিল, আমরা হয়তো আর বাঁচতে পারবো না।’

বাড়ির পাশের একটি গাছ অ্যাশলি ম্যাকমিলানের বাড়ির ওপরে পড়ে। এতে বাড়ির ক্ষতি হলেও পরিবারটির কোনো সদস্য হতাহতের শিকার হননি।

ফরাসি সংবাদ সংস্থা এপিকে এই মার্কিন নারী বলেন, ‘আমাদের বাড়ি কাঁপছিল। আমরা উচ্চ শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম। একপর্যায়ে সবকিছু শান্ত হয়ে গেল।’

প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য আরকানাসাসে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির গভর্নর সারা হুকাবে জরুরি অবস্থা জারি করে। এই নারী বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে কথা বলার পরই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কেন্দ্রীয় সহযোগিতা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।’

এদিকে, শুক্রবারের ঝড়ে ইলিয়নসের বেলভিদের শহরের একটি থিয়েটারের ছাদ উড়ে গিয়েছে। এতে একজন নিহত ও অন্তত ২৮ জন আহত হয়েছেন।

বিবিসি বলছে, ঝড়টি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলের দিকে দাবিত হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন রাজ্যের কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎহীন।

ইউএস পাওয়ারআউটেজ ওয়েবসাইট অনুসারে, বিদ্যুৎ পরিষেবা সবচেয়ে বেশি ব্যাহত হচ্ছে ভার্জিনিয়া, ওহিও এবং পেনসিলভানিয়াতে।