রাতের আঁধারে ছেড়া হচ্ছে জামিল ব্রিগেডের ব্যানার, তীব্র প্রতিক্রিয়া বাদশার


রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে করোনাকালে স্বেচ্ছায় সেবাদানকারী সংগঠন শহিদ জামিল ব্রিগেডের উদ্যোগে লাগানো অধিকাংশ ব্যানার রাতের আঁধারে ছিড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা । দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে করোনা সচেতনতা বাড়াতে শনিবার সকালে সংগঠনটির উদ্যোগে এসব ব্যানার টানানো হয়।

রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এঘটনার সত্যতা মিলেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক ও নিউ গভ ডিগ্রি কলেজের সামনে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার ছবি সম্বলিত অধিকাংশ ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। কোথাও কোথাও খুলে নেয়া হয়েছে।

এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন শহিদ জামিল ব্রিগেডের সর্বস্তরের সদস্যরা। তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে রোববার বিকালে বিবৃতি দিয়েছেন শহিদ জামিল ব্রিগেডের প্রধান উপদেষ্টা ফজলে হোসেন বাদশা।

বিবৃতিতে বাদশা বলেন, ‘গত সাড়ে তিন মাস ধরে শুধুমাত্র একটি ফোন কলের মাধ্যমে রাজশাহীর শত শত মানুষকে বিনামুল্যে অক্সিজেন-অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়ে যাচ্ছে শহিদ জামিল ব্রিগেড। জনগণের কঠিন সময়ে নিঃস্বার্থ মানবতার পরিচয় দেওয়া এই সংগঠনটির ব্যানার ছিড়ে ফেলার অর্থ রাজশাহীর মানুষকে অবজ্ঞা করা। শহরে হাজার হাজার ব্যানার-ফেষ্টুন অক্ষত থাকে- আর জামিল ব্রিগেডের ব্যানার ছিড়ে ফেলা হয়। জামিল ব্রিগেড যেহেতু মানুষের সেবায় কাজ করেছে; সেহেতু এ ঘটনার সাথে জড়িতরা অবশ্যই জনগণ ও রাজশাহীবাসীর শত্রু।’

বিবৃতিতে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধানতম এই নেতা আরও বলেন, ‘নগরজুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এসব পর্যবেক্ষণ করলে অপরাধীদের সনাক্ত করা খুব কঠিন কাজ নয়। জামিল ব্রিগেড একদিকে যেমন মানুষের সেবা করেছে, অপরদিকে এ সেবার মধ্যদিয়ে সরকারকেও সহযোগিতা করেছে। জীবন ঝুঁকি নিয়ে জগণের জন্য কাজ করলে, মানুষের পাশে দাঁড়ালে কারা মানবতাবিরোধী ষড়যন্ত্র করেন- এই ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের গ্রেফতার করলেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।’

সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান।

উল্লেখ, রাজশাহীতে করোনা মোকাবিলায় গত ৫ জুন ৫০ জন তরুণ-যুবকের সমন্বয়ে শহীদ জামিল ব্রিগেড গঠন করা হয়। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকায় শুধু একটি ফোনকলে মানুষের বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স ও অক্সিজেন পৌঁছে দিয়ে মানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন সদস্যরা।

৮ আগস্ট তাদের সেবায় যুক্ত হয়েছেন চারজন চিকিৎসক। তারা বিনামূল্যে রোগীদের সেবা ও পরামর্শ দিচ্ছেন। এসবের পাশাপাশি রাবিতে ভর্তিচ্ছুদের যেকোন বিপদেও তাদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি।