রাবিতে জন্মাষ্টমী উদযাপিত


রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় জন্মাষ্টমী উদ্যাপন করা হয়। এ উপলক্ষে  বুধবার  সকাল ৭:৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন।

সকাল ৮:৩০ মিনিটে রাবি কেন্দ্রীয় মন্দির প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় পূজা অর্চনা ও যজ্ঞানুষ্ঠান ও সকাল ৯টায় অনুষ্ঠিত হয় পূজাঞ্জলী। সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম।

এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক বিধান চন্দ্র দাস ও বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

সভায় মূল আলোচক ছিলেন খুলনার নর্থ ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক (অব.) তারাপদ ভৌমিক। রাবি কেন্দ্রীয় মন্দির পরিচালনা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক কমল কৃষ্ণ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এই অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. রঞ্জন কুমার বর্মন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) বাংলাদেশে আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখার প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেন, সৃষ্টির আদিকাল থেকেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম চলে আসছে। শ্রীকৃষ্ণের জীবনচরিত আমাদের এই শিক্ষা দেয় যে সবসময় ন্যায়ের পথে চলতে হবে। ইসলাম ধর্মের মহানবীর আদর্শও ছিল একই।

আমরা যদি এই আদর্শ মেনে চলি, হোক সেটা ইসলাম, হিন্দু কী বৌদ্ধ, তবেই আমরা সর্বধমীয় সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি কায়েম করতে পারবো। তাই ধর্মীয় শিক্ষা জাগ্রত হোক। সকল ধর্মের মধ্যে জাগ্রত হোক শুভবোধের চেতনা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) বলেন, বাংলাদেশে সকল ধর্মমতের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্যও পারস্পরিক সম্প্রীতি একান্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ সেক্ষেত্রে এক ইতিবাচক উদাহরণ। এর মধ্যে দিয়ে আমরা সম্মিলিতভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারাবাহিকতায় স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে পারবো।

সভায় মূল আলোচক তাঁর বক্তব্যে বলেন, সনাতন ধর্ম মতে অধর্ম ও  দূর্জনের বিনাশ এবং ধর্ম ও সুজনের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ যুগে যুগে পৃথিবীতে আগমন করেন। তিনি নির্যাতিত-নিপীড়িত মানুষকে রক্ষায় পরিত্রাতার ভূমিকা পালন করেন। দুষ্টের দমন করতে এভাবেই যুগে যুগে ভগবান মানুষের মধ্যে নেমে আসেন এবং সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করেন।

আজকের বাস্তবতা ও প্রেক্ষাপট বিবেচনায় ধর্মীয় অনুশাসন আমাদের শান্তির পথ নিশ্চিত করতে পারে। মানুষের কল্যাণের জন্য ধর্মের উৎপত্তি। আর সেই ধর্মের বিধিবিধান মেনে চলার মধ্যে দিয়ে আমরা যেন দেশ-জাতি ও সমাজে ন্যায় ও সম্প্রীতি রক্ষা করতে পারি।

জন্মাষ্টমীর কর্মসূচিতে আরো ছিল বিকেল ৪টায় নাম সংকীর্তন এবং বিকেল ৫টায় সন্ধ্যা আরতি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।