রাবিতে বঙ্গবন্ধু দাবা প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন খলিলুর-হৃদয়


রাবি প্রতিনিধি: স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে দাবার বিকাশ এবং প্রতিভাবান দাবাড়ুদের খুঁজতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি)আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু দাবা প্রতিযোগিতার চতুর্থ আসর শেষ হয়েছে। এবারের আসরে স্কুল-কলেজ থেকে ১২ জন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৪ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন।

রাজা, মন্ত্রী, হাতি, ঘোড়া ও সৈন্যদের লড়াইয়ে জমে উঠেছিল ফাইনাল খেলা। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এ. এস. এম তৌহিদুল আলমকে কুপোকাত করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের খলিলুর রহমান।

তিনি ২০২২ সালে আয়োজিত এই প্রতিযোগিতায় রানার আপ হয়েছিলেন। অন্যদিকে স্কুল-কলেজ পর্যায়ে রাজশাহীর অগ্রনী স্কুল ও কলেজের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী জাকারিয়া চৌধুরীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হৃদয় বর্মন। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনে এ প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক আব্দুল হান্নান ও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক মো. সাহাল উদ্দিন। এসময় চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ স্থান অর্জনকারী দাবাড়ুদের হাতে ট্রফি, ক্রেস্ট ও বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বই পুরস্কার দেওয়া হয়।

নক আউট পদ্ধতির এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া স্কুল-কলেজের (গ্রুপ ‘ক’) মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল, শেখ রাসেল মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, পিএন গার্লস স্কুল, রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ, রাজশাহী কলেজ, নিউ গভ. ডিগ্রী কলেজ।

বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যালামনাইদের (গ্রুপ ‘খ’) মধ্যে রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় (ববি) ও নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এই প্রতিযোগিতার আহ্বায়ক ও আইন বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী ফারদিন বিন আব্দুল্লাহ বলেন, দাবা একটি বুদ্ধিবৃত্তিক খেলা।

আমরা বিশ্বাস করি আমাদের মতো তরুণেরা খেলাধুলা ও সৃজনশীলতায় যত এগিয়ে আসবে, দেশ ততই এগিয়ে যাবে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এই খেলাটি চর্চার মাধ্যমে নিজেদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে পারবে। রাবির আইন বিভাগ দাবাসহ সব খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চতুর্থবারের মতো আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি।

শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে অধ্যাপক আব্দুল হান্নান বলেন, আজ আমি খুবই আনন্দিত। এই প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া প্রতিভা বিকাশে সহায়তা করে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের চিন্তাচেতনা, মননশীলতা, শারীরিক ও মানসিকভাবে সুনাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।

আমরা সব সময় এমন খেলার আয়োজক কমিটিদের সাথে আছি। এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।