রৌমারীতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে করাত কল


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বাড়ি বাড়ি গিয়ে গাছ চিরাই করে দিচ্ছে এই ভাসমান করাত কল (স’ মিল)। এসব করাত কল উপজেলার চর বন্দবেড়, বাইটকামারী, খাটিয়ামারী,
বামনেরচর, দাঁতভাঙ্গা গ্রামসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে যাচ্ছে গাছ চিরাই করার জন্য। চার চাকা লাগানো ট্রলির মধ্যে স্যালোমেশিন বসিয়ে গাড়ি তৈরী করে তার উপর করাত কল (স’ মিল) স্থাপন করে গাছ চিরাই করেছেন।

মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেই এই ভাসমান করাত কল (স’ মিল) টি চলে যায় গ্রামে। উপজেলা শহর থেকে প্রত্যন্তঞ্চলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। ফলে গ্রামের মানুষ তাদের বাড়ির গাছ কেটে বাজারের স’মিলে আনতে পারে না। অতি কষ্টে আনলেও খরচ হয় অনেক বেশি। যারা নতুন ঘর বা বিভিন্ন নির্মাণ কাজ করার সময় কাঠের প্রয়োজন হলে, তাদের গাছ স’মিলে না নিয়ে বাজার থেকে কাঠ ক্রয় করে নিয়ে যায়।

করাত কলটির মালিক মো. দুলু মিয়া বলেন, রৌমারী উপজেলার রাস্তা ঘাট তেমন ভালো না, তাই গাড়ি তৈরী করে স’ মিল সেট করেছি। একশত বা তার বেশি সেপ্টি কাঠ হলেই, আমরা সেই গ্রামে গিয়ে গাছ চিরাই করে দিয়ে আসি। এতে গাছগুলো গাড়ি ভাড়া দিয়ে স’ মিলে নিয়ে আসতে হয় না, গাছ মালিকের গাড়ি ভাড়াও লাগেনা।

স’ মিল মিস্ত্রি ওমেদ আলী বলেন, আমরা প্রতিদিন উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে মানুষের গাছ ফারি (চিরাই) দেই, আমরা চারজন কামলা (শ্রমিক) কাজ করি, প্রতিদিন পাঁচশত টাকা করে মুজুরী পাই।

ফলুয়ারচর গ্রামের হুমায়ন কবির, আমিনুল ইসলাম, রাকিব মিয়া,সজিব মিয়া বলেন, আমাদের গ্রামে যারা গাছ ফারবে (চিরাই) সবাই মিলে স’ মিল মালিকের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করি। আজ আমাদের গ্রামে এসে গাছ ভাঙ্গায়ে (চিরাই) দিচ্ছে, গাড়ি ভাড়া করে কষ্ট করে স’ মিল নিতে হলো না। আমাদের অনেক উপকার হয়েছে, বাড়িতে থেকে কাঠ ভাঙ্গনো হলো, খড়ি ও কাঠের গুড়া পেলাম রান্নার কাজে ব্যবহার করার জন্য।