রৌমারীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের অসহায় মানুষের স্বপ্নের ঠিকান বৃষ্টির তরে ধষে গেছে কয়েকটি ঘর


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলাধীন রৌমারী উপজেলায় মুজিব বর্ষের অসহায় ভূমি ও গৃহহীণদের স্বপ্নের ঘর গুলো বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় পাঁচটি ঘর ভেঙ্গে গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দাতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিনধরা গ্রাম, বগারচর অশ্রয়ণ প্রকল্পে। গত ৩দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের নতুন মাটি ভরাটের মাঠটি দূর্বল হয়ে পড়ে।

 

যার ফলে বৃষ্টির স্রোতধারায় ভিটের মাটি সরে গিয়ে প্রায় ৪টি ঘরের আঙশিক ক্ষতি হয। রৌমারীর পুরো অঞ্চলটি নদ-নদী খাল-বিল দ্বারা পরিপুর্ন হওয়ায় এখানকার আবাস ভূমি নিচু ও বালি দ্বারা পরিপুর্ণ্ । ভূমি নিচু হওয়ায় বালি মাটি দ্বারা উচু ভিটে তৈয়ারী করে সেখানে গৃহ নির্মাণ করতে হয়। নিয়ম অনুসারে বালি দ্বারা উচু করন ভিটায় বা প্রকল্পের মাঠটি ১ বছর পরে সেখানে নতুন গৃহ নির্মাণ করার নিয়ম । কিন্ত সরকারী বরাদ্বের সময় সীমা বেধে দেওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী নিদিষ্ট সময়ে নতুন ভিটায় গৃহ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। যারফলে প্রাকৃতিক দূযোগ ও ঝড় বৃষ্টির ফলে এমন ক্ষতি সাধিত হয়।

 

বগাচর আশ্যয়ণ প্রকল্প ক শ্যেনীর ২য় পর্বে ২৬ টি নির্মিত ঘরের মধ্যে চারটি ঘরের আংশিক ধসে পড়ে। এ বিষয়ে সংবাদ শুনার পর ঘটনা স্থলে দ্রুত চলে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছেন নতুন মাটির ওপর ঘরগুলো নির্মান করা হয়েছে। পাশে খাল, এদিকে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে ঘরের মাটি সরে গিয়ে ৪টি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ্য ঘর গুলোর মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে।

 

উপজেলা অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় ২০-২০২১ অর্থ বছরের দ্বিতীয় পর্যায় সরকারি খাস জমিতে ‘ক’ শ্রেনীর ২০১ টি ভূমিহীন পরিবারের বসবাসের জন্য নির্মিত হচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সেমি পাকা বাড়ি। উপজেলায় খাস জমি খুঁজে বের করে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২ শতাংশ জমি দিয়ে এসব ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। দুই কক্ষ বিশিষ্ট প্রতিটি আধাপাকা ঘরের নির্মানের ব্যয় হবে ১ লক্ষ ৭১ হাজার টাকা। গৃহ নির্মান কাজের সরাসরি তদারকি করছেন উপজেলা প্রশাসন।

এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান জানান, টানা বৃষ্টিতে বগারচর আশ্যয়ণ প্রকল্পের ৪টি ঘর ৩দিনের টানা বর্ষণে আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি গ্রস্থ ঘর গুলো দ্রুত মেরামত করা হচ্ছে।