রৌমারী উপজেলার আয়তন ১৯৭ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে ২০৯টি গ্রামের অবকাঠামোর খবর কেউ রাখেনা পথচারীরা


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাধীন,ছয়টি ইউনিয়নে রয়েছে ২০৯ টি গ্রাম। ছয়টি ইউনিয়নের তালিকায় সীমান্তঘেষা ৫ নং যাদুরচর ইউনিয়নটি বরাবরই অবহেলিত দেখার যেন কেউ নেই। উপজেলার শেষ সীমানা বালিয়ামারী হইতে ভায়া লাঠিয়াল ডাঙ্গা হয়ে সীমান্তঘেষা আলগারচর, ডেঙ্গিয়ে খেয়ারচর বাজার পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তার জরার্জীণ অবস্তা কেউ দেখেন না।

খেয়ারচর বাজার থেকে ভায়া বিকরিবিল পেরিয়ে ছায়েদাবাদ ডিসি সড়ক পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাচা রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের যাতয়াতের একমাত্র সড়কটির বেহালদশায় অতিষ্ট এলাকাবাসী । ছায়েদাবাদ হইতে ভায়া চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রাম হয়ে, রাজিবপুর উপজেলার নয়াপাড়া কালামের মোর পর্যন্ত প্রায়ই ৬কিলোমিটার কাচা সড়কে প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা খবর কেউ রাখছেন না। খেয়ার চর হইতে ইজলামারী খেয়াঘাট পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার কাচা রাস্তায় কোন উন্নয়ন হয়নি হাজারো ভুক্তভোগী মানুষের অভিযোগ।

বালিয়ামারী খেয়াঘাট হইতে ইজলামারী খেয়াঘাটের দূরত্ব ১২ কিলোমিটার রাস্তায় কোন প্রকার, যানবাহন চলেনা, শুধু পায় হেটেই শহর এলাকায় যেতে হয়। নয়াপাড়া কালামের মোর হইতে সরাসরি ছায়েদাবাদ পর্যন্ত হিসাব করে দেখা গেছে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরতে¦ কাচা রাস্তায় চলেনা নাও চলেনা পাও।

রৌমারী উপজেলার বাসিন্দা হলেও সবসময়ই যেতে হয় রাজিবপুর উপজেলার উপরদিয়ে,এছাড়া রৌমারী যাওয়ার কোন উপায় নেই। এতে হিসাব করে দেখা গেছে চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা থেকে রাজিবপুর ঘুরে রৌমারী শহরে যেতে হলে ২০ কিলোর স্থলে ২৬ কিলোমিটার রাস্তা পেরিয়ে শহরে যেতে হয়। এই ২৬ কিলোর মধ্যে যাতয়াতে ১২ কিলোর রাস্তা অপচয় করে রৌমারী যেতে হচ্ছে । এসব জরার্জীণ গ্রামীণ সড়কে যাতয়াত করতে গিয়ে ধুলা বালিতে পরিবেশ নষ্টের পাশাপাশি নানারোগে আক্রান্ত হচ্ছে পথযাত্রীরা।

এইসব জরার্জীণ রাস্তায় যাতয়াত করে থাকে কমলমতি শির্ক্ষাথী ও শিক্ষকসহ সকল পেশার হাজারো মানুষ। যেসব এলাকার নাম উল্লেখ্য করা হয়েছে ওইসব, এলাকায় দেশ স্বাধীনের ৫২ বছরেও কোন প্রকার উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি সেটি সড়েজমিনে গিয়ে বাস্তবে দেখা গেছে। এসকল গ্রামের বিছিন্নজনপদে সরকারি বেসরকারী প্রায়ই ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শির্ক্ষাথীরা ধুলিবালীর সঙ্গে যুদ্ধু করে জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করে থাকে।

গ্রামীণ অবকাঠামোর প্রতি সুদৃষ্টি নেই জনপ্রতিনিধিদের, ফলে খোপের সাগরে ভাসছেন অঞ্চলের মানুষ। এদিকে রৌমারী উপজেলার শেষ যাদুরচর ইউনিয়নের বালিয়ামারী খেয়াঘাট হতে চুলিয়ারচর পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তায় টেকসই পাকাকরনের দাবী জানিয়েছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। দূর্দশার বিষয় ইউপি সদস্য শেখ ফরিদ বলেন কি আর বলবো বলার ভাষা হাড়িয়ে ফেলেছি এই রাস্তায় যেভাবে কষ্ট করে যাতয়াত করতে হয়। আমি এই এলাকার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

অপরদিকে চর লাঠিয়াল ডাঙ্গ টু লাঠিয়াল ডাঙ্গা গ্রামের মাঝদিয়ে ভারত থেকে বয়ে আসা জিঞ্জিরাম নদী। এবং চর লাঠিয়াল ডাঙ্গা- বিকরিবিল দু গ্রামের মাঝেখানে রয়েছে কালোপানি নামে একটি ছোট নদী এই ছোট দুটি নদীর উপর টেকসই ব্রীজ নির্মান করলে এই এলাকাটি উন্নয়নহবে।

এবিষয় রৌমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমান আলী বলেন ওই এলাকার মানুষ গুলো খুবই কষ্টে রয়েছে আমি সরকারের কাছে জোর দাবী জানাচ্ছি বিছিন্ন এলাকাবাসীর দিকে সুদৃষ্টি দিবেন। জরার্জীণ জনপদের বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী যুবায়েদ হোসেন বলেন এসব এলাকার জরার্জীণ বেহালদশা জানি তবে আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি বরাদ্দ পাইলে কাজ করা হবে।