‘লকডাউনে পার্টির বিষয়ে পার্লামেন্টকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বরিস জনসন’


যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। ছবি : এএফপি

করোনা অতিমারীর সময় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায়  বরিস জনসন লকডাউনের আইন ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি করার বিষয়ে ইচ্ছে করে পার্লামেন্টকে ভুল তথ্য দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির সংসদীয় কমিটি।

এদিকে, ৫৮ বছর বয়সী জনসন পার্লামেন্টর ওই প্রতিবেদনকে ‘দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক গুপ্তহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তবে, আইনপ্রণেতাদের ওই কমিটি বলেছে ২০২০ ও ২০২১ সালের পার্টিগুলো ছিল মদ্যপদের আড্ডা যাতে সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি একেবারেই মানা হয়নি। আর এসব ঘটনা বরিসের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নের মুখে নিয়ে গেছে, পাশাপাশি তার পতনকে করেছে ত্বরান্বিত।

সাত সদস্যের হাউজ অব কমন্স প্রিভিলেজ কমিটির অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য। পুরো হাউজ অব কমন্স এখন কমিটির ওই রিপোর্টের ওপর বিতর্ক চালিয়ে যাবে ও সিদ্ধান্ত নেবে প্যানেলের পাওয়া তথ্যের সঙ্গে বাস্তবতার মিল আছে কিনা এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে তাদের মতামত দেবে।

এ বিষয়ে লন্ডন থেকে আলজাজিরার প্রতিবেদক সোনিয়া গালেগো জানান, এই প্রতিবেদনের গুরুত্ব এতোটাই বেশি যে তা এড়িয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। তিনি ওই প্রতিবেদনটিকে স্বাস্থ্য সংকটের সময় বরিস জনসনের আচার-আচরণের প্রতি মারাত্মক জবাব হিসেবে বর্ণনা করেন।

দীর্ঘ প্রত্যাশিত সংসদীয় কমিটির ১০৬ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি যতোটা না আশা করা হয়েছিল তার চাইতেও জটিল, বিশেষ করে নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে যে মতামত দেওয়া হয়েছে সেটি বিবেচনা করা হলে।

কমিটি তাদের প্রতিবেদনে বলে, ‘আমরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছেছি যে জনসন পার্লামেন্টকে ভুল পথে চালিত করে গুরুতর অবমাননার কাজ করেছেন। আর এই অবমাননা এ কারণে গুরুতর যে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদে থেকে সরকারের সবচাইতে জ্যেষ্ঠ সদস্য হিসেবে এই কাজটি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে তিনি পার্লামেন্টকে ভুল পথে চালনা করতে পারেন না।’

উল্লেখ্য, কোভিড-১৯ অতিমারী চলাকালে সংক্রমণ এড়াতে স্বাস্থ্যবিষয়ক বিধিনিষেধ জারির সময় বহুল আলোচিত ‘পার্টিগেট’ কেলেঙ্কারির জন্য বরিস জনসন, তার স্ত্রী ক্যারি এবং বেশ কয়েক ডজন সরকারি কর্মকর্তাকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার আইন ভেঙে পার্টি করার জন্য জরিমানা করে পুলিশ।