শহীদ কর্নেল গুলজার র‌্যাবের নাম উজ্জ্বল করেছেন: র‍্যাব ডিজি


পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদরদফতরে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) পিলখানা ট্র্যাজেডির ১২তম বার্ষিকীতে বিকাল ৩টায় বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান র‌্যাব প্রধান।

শ্রদ্ধা জানানো শেষে র‌্যাব ডিজি বলেন, আজ আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে এসেছি তৎকালীন বিজিবির লিগ্যাল উইংস ডিরেক্টরের দায়িত্বে থাকা শহীদ কর্নেল গুলজার উদ্দিন আহমেদের প্রতি, যিনি র‌্যাবের এডিজি অপারেশনস ও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া র‌্যাবের ইন্টালিজেন্স শাখায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে র‌্যাবের সাহসী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে র‌্যাবের নাম উজ্জ্বল করেছেন।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি পিলখানার সেই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে নিহত সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বলে জানান র‌্যাব মহাপরিচালক।

এর আগে, সকালে শহীদদের কবরে রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমেদ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

আরও শ্রদ্ধা জানান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, ভারপ্রাপ্ত নৌবাহিনী প্রধান রিয়ার এডমিরাল এম আবু আশরাফ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম।

ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের সম্মানে স্যালুট দেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

বহুল আলোচিত এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় (পিলখানা হত্যা মামলা) ১৩৯ জনকে ফাঁসি, ১৮৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ২০০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় মামলা হিসেবে পরিচিত এটি। দীর্ঘ বিচার ও রায় শেষে ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।