শার্দুল-ওয়াসিংটন জুটি স্বপ্ন দেখাচ্ছে ভারতকে


বলার মতো কোন স্কোর করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। রোহিত-রাহানেরা যেখানে ব্যর্থ। সেখানে আশার আলো দেখাচ্ছে লোয়ার অর্ডার দুই ব্যাটসম্যানের জুটি। ১৮৬ রানে ৬ উইকেট হারায় সফরকারীরা। স্বীকৃত কোন ব্যাটসম্যান নেই। এমন অবস্থা থেকে টেনে ধরেছেন ওয়াসিংটন সুন্দর ও শার্দুল ঠাকুর জুটি।

এই দু’জনে গড়েছেন ১২৩ রানের জুটি। দুই করেছেন ফিফটি। তাদের এই জুটির ফলে ম্যাচে কিছুটা হলেও স্বপ্ন দেখছে ভারত।

দুজনের সপ্তম উইকেট জুটিতে নতুন পাতা যোগ হয়েছে রেকর্ডের খাতায়। ওপরের সারির ব্যাটসম্যানদের বিবর্ণ পারফরম্যান্সের পর সুন্দর-শার্দুলের ব্যাটেই অস্ট্রেলিয়ার লিডটা মাত্র ৩৩ রানে আটকে রাখতে পেরেছে ভারত। শেষপর্যন্ত তারা অলআউট হয়েছে ৩৩৬ রানে। তৃতীয় দিনের শেষ বিকেলে ৬ ওভার খেলে অসিরা করেছে ২১ রান। ফলে ৫৪ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে তারা।

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) ২ উইকেটে ৬২ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল ভারত। স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের প্রায় সবাই ভালো শুরুর পর আউট হয়েছেন ইনিংস বড় করতে না পারার ব্যর্থতা নিয়ে। চেতেশ্বর পুজারা ২৫, অজিঙ্কা রাহানে ৩৭, মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৩৮ ও রিশাভ পান্ত ২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

তখন ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৮৬ রান। সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে ১২৩ রানের জুটি গড়েন সুন্দর ও শার্দুল। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ষাটোর্ধ্ব রানের ইনিংস। দলীয় ৩০৯ রানের মাথায় আউট হওয়ার সময় শার্দুলের নামের পাশে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৭ রানের ইনিংস। পরে সুন্দর আউট হন ৬২ রান করে।

অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ৯৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন শার্দুল। অভিষিক্ত সুন্দরের নামের পাশে ছিল ৮৯ রানে ৩ উইকেট। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুজনই হাঁকিয়েছেন ফিফটি। ভারতের টেস্ট ইতিহাসের অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে কোনো দুই খেলোয়াড়ের ৩ উইকেট ও ৫০ রান করার এটিই প্রথম কীর্তি।

এছাড়া অভিষেক বোলিং ইনিংসে ৩ উইকেট ও অভিষেক ব্যাটিং ইনিংসে ৫০ রান করা দ্বিতীয় ভারতীয় খেলোয়াড় হলেন সুন্দর। তার আগে ১৯৪৭-৪৮ মৌসুমের সিডনি টেস্টে একই কীর্তি দেখিয়েছিলেন দাত্তু ফাডকার। সবমিলিয়ে বিশ্বের দশম খেলোয়াড় হিসেবে এ রেকর্ড গড়েছেন সুন্দর।

সুন্দর-শার্দুলের ১২৩ রানের জুটির কল্যাণে অস্ট্রেলিয়ার লিডটা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩ রানে। যা ভারতের জন্য একপ্রকার খুশির খবরই বলা চলে। কারণ এর আগে দুইবার ভারতের বিপক্ষে ৩৩ রানের লিড পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কানপুরে ১৯৭৯-৮০ ও অ্যাডিলেইডে ২০০৩-০৪ সালে হওয়া ম্যাচ দুইটিতেই হেরেছিল অসিরা।

শেষ বিকেলে এই ৩৩ রানের লিডের সঙ্গে কোনো উইকেট না হারিয়ে আরও ২১ রান যোগ করেছেন দুই অসি ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও ডেভিড ওয়ার্নার। সোমবার ওয়ার্নার ২০ ও হ্যারিস ১ রান নিয়ে খেলতে নামবেন।