শিবগঞ্জে মন্দির সংস্কারে বাধা, এলাকায় উত্তেজোনা


শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি: শিবগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুটি গ্রুপের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে  মন্দির সংস্কারের কাজ স্থগিত হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার হিন্দুদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা বিরাজ করছে। প্রতিকার চেয়ে শিবগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বসু চন্দ্র সাহা। ঘটনাটি উপজেলার শিবগঞ্জ পৌরসভার পাঁচ নং ওয়ার্ডের নতুন আলিডাঙ্গা গ্রামে।
গত ১৩ জুলাই মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পদাক শ্রী বসু চন্দ্র সাহা স্বাক্ষরিত  শিবগঞ্জ থানার অফিসার ইন চার্জ বরাবর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে গত  ১০ জুলাই বিকাল পাঁচটার দিকে নতুন আলিডাঙ্গা বটপেকুরতলা সার্বজনিন দূর্গা মন্দির সংস্কার করার জন্য কমিটির সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে কমিটি,  কিছু লোকজন নিয়ে সভা করছিল। এ সময় একই এলাকার প্রদীপ সাহা(৬০)নির্মল সাহা(৫০),সুবাস সাহা(৩৫),পলাশ সাহা(৩০)অরুন সাহা(৩৫) ও স্বাধীনসাহা(৫০)মন্দিরে উপস্থিত হয়ে মন্দির সংস্কার করা যাবে না মর্মে বিভিন্নভাবে হুমকী ধামকী দেয়। এ সময় সভার লোকজনের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়লে হৈ-ঢ়ৈ শুরু হলে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসে। এ সময় তারা চলে যায়। এ ব্যাপারে মন্দির প্রতিষ্ঠাকারী  মিলন পাল বলেন এখানে পূর্বে শুধু হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে ধনীরা আলাদাভাবে মন্দির তৈরী করে পূর্জা অচুর্না করতো।
আমরা গরীব হওয়ায় পূর্জা করতে পারতাম না। তাই প্রায় ২৪বছর আগে খাস জমির উপর মন্দির তৈরী করেছি।তখন থেকেই আমরা এখানেই পুর্জা করে থাকি। মন্দির পরিচালনা করার জন্য একটি কমিটি আছে। তারা দেখাশুনা করে।এ্যাডভোকেট মিতা রানী পাল বলেন অনেকেই মনে করেন আমার নেতৃত্বে এ মন্দিরটি চলে। যা সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। মন্দির পরিচালনার একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি আছে। তবে আমরা ছোট থেকে এখানে পুর্জা করে। সেহেতু এটি সংস্কার হওয়া বাঞ্ছনীয়।
 একই কথা বললেন মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্রী বসু চন্দ্র সাহাবলেন মন্দিরের ,বুলন রানী সাহা,মাধনী রানা সাহা,অনোকা রানা সাহা সহ  এক ঝাঁক নারী পুরুষ জানান আমাদের পূর্জা করার জন্য  এ মন্দিরটি অপরিহার্য। তাই আমরা মন্দিরটিকে  টিকিয়ে রাখার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
তারা আরো জানান, একই এলাকার কিছু হিন্দু লোক তাদের নিজের স্বার্থের জন্য মন্দিরের বিরোধিতা করে আসছে।তবে তাদের এ অভিযোগ অস্বীকার করে প্রদীপ বড়গড়িয়া ও তার সমর্থকগণ বলেন মন্দিরটি আছে রেকর্ডীয় রাস্তার জমির উপর। যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতে সামিল। কারণ রাস্তার জমির উপর মন্দির থাকা অবৈধ। তিনি আারো বলেন,মন্দিরটির আশেপাশে অনেক বাড়ি আছে।রাস্তা না থাকায় তারা বাড়ি হতে বের হতে পারছে ন।
শিবগঞ্জ থানর অফিসার ইনচার্জ চৌধুরী জোবেয়ার আহাম্মদ বলেন অভিযোগ পেয়েছি।তবে বিষয়টি নিয়ে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল হায়াত স্থানীয়ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অবুল হায়াত বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে  বিষয়টি সমাধান করা হবে।