সবাইকে সাথে নিয়ে রাজশাহীকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই- মেয়র লিটন


স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেছেন, রাজশাহীতে গত প্রায় ৫ বছরের মধ্যে আড়াই বছর কাজ করতে পেরেছি। করোনা সংক্রমন সহ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে প্রায় আড়াই বছর সময় নষ্ট হয়ে গেছে। মাত্র আড়াই বছরের মধ্যে রাজশাহীর দৃশ্যমান উন্নয়ন আমরা দেখাতে পেরেছি। আগামীতে সবাইকে সাথে নিয়ে রাজশাহীকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ডা. কাইছার রহমানস চৌধুরী মিলনায়তনে প্রকৌশলী ও কৃষিবিদদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহীর অনেক কয়েকটা  বড় কাজ বাকি আছে। সেগুলো করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আবারো দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে। আমি সেই অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করতে চাই। রাজশাহী মহানগরীর টি-বাঁধ থেকে মিজানের মোড় পর্যন্ত পদ্মা নদীর ধারে চর আছে। এই চরে  রিভার সিটি তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি।

মেয়র আরো বলেন, রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে গতিশীল করতে পদ্মা নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে ভারতের মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী হয়ে আরিচা হয়ে ঢাকা পর্যন্ত নৌরুট চালুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ধূলিয়ান হতে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ পর্যন্ত নৌরুট চালু হবে। এটি চালু পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যাবে। এরমধ্যে রাজশাহীর ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিকে গতিশীল হবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। রাজশাহী থেকে কলকাতা পর্যন্ত সরাসরি ট্রেন ও বাস চালু করা হবে। এছাড়া নগরীতে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করতে চাই। রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণে  টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। এটি বাস্তবায়িত হবে। এছাড়া বিসিক-২ উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে। চামড়া শিল্প পার্কের কাজেও অগ্রগগতি হয়েছে।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামালের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন  আইইবি রাজশাহীর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নিজামুল হক সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী নাজমুল হুদা, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি লুৎফর রহমান, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের আশিক রহমান, বিএমডির নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রশীদ, রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ প্রফেসর ড. রবিউল আওয়াল, সহ-সভাপতি প্রফেসর আব্দুল আলিম, রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ নূর ইসলাম, ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী পারভেজ মাসুদ, তুষার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহীর উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্ত রাজশাহীর অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ শামসুল ওয়াদুদ, নেসকো রাজশাহীর প্রধান প্রকৌশলী প্রকৌশলী আঃ রশীদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজশাহী প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম, রুয়েটের প্রধান প্রকৌশলী শাহাদত হোসেন, কৃষিবিদ রেজাইল করিম, এলজিইডি রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ লুৎফর রহমান, গণপূর্ত সার্কেল রাজশাহীর তত্ত্বাবধায়র প্রকৌশলী মোঃ ফজলুল হক প্রমুখ।