সরিষার বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি দামও বেশি এদিকে সময় কম বোরো লাগাতে ব্যস্ত এঅঞ্চলের কৃষকসহ-কৃষানীরাও


মাজহারু ইসলাম, রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: রৌমারী-রাজিবপুরে ইরি-বোরো ধান লাগানোর পুরো মৌসুম চাষিদের। তাই শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করেই সরিষা উঠিয়ে মহিষের গাগিতে নেওয় হচ্ছে এদিকে বোরো রোপনেও সময় কম। তাই তারা ইরি-বোরো লাগাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরে কৃষকসহ-কৃষাণীরাও। আবহাওয়া অনুুকুলে থাকা ও বাজারে কৃষি উপকরণের (সার ও তেল) সমস্যা না হলে ইরি-বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না বলে আশা তাদের।

 

তবে ধানের দাম বাড়ানোর দিকে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী-রাজিবপুরকে ঘিরে রয়েছে ১৬টি নদ-নদী। প্রাকৃতিকভাবে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকলেও আগাম ঝড়-বৃষ্টিতে এ অঞ্চলে ভারতীয় পাহাড়ী ঢলে নেমে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। প্রতি বছরই এই অঞ্চলের কৃষকরা আগাম ইরি-বোরো চাষে আগ্রহী থাকে।

 

এখানকার মানুষ একমাত্র কৃষির উপর নির্ভরশীল। এখানে নেই কোন শিল্প কারখানা। তবে কৃষি জমি গুলোতে ভালো ফসল হয় । ইরি-বোরো পাশাপাশি সরিষা, গম, আখ, বাদাম, কাউন, চিনা, তিল, তিশিসহ নানা জাতের ফসল ফলে থাকেন এখানকার খেটে খাওয়া কৃষকরা। উৎপাদিত ফসল এলাকার চাহিদা মিটিয়ে কয়েক হাজার টন খাদ্যশস্য অনান্য জেলায় রপ্তানিও করা হয়।

 

রৌমারী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সুত্র জানায়, চলতি বছরে এবার রৌমারী ১০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। রাজিবপুর উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে বলে কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে।

 

তবে গতবছর প্রবল বন্যার কড়ালগ্রাসে ফসলের ক্ষতি হলেও এবার জমিতে পলিমাটি ও ময়লা আবর্জনা পচেঁ জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে সরিষার বাম্পার ফলনের পাশাপাশি দামও অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি পেয়েছে দুই উপজেলার কৃষকরা। তার পাশপাশি ইরি- বোরোর ভালো ফলনের আশায় বুকবেধেঁ মাঠে নেমেছে এঅঞ্চলের কৃষক-কৃষানীরাও।

 

এবিষয় রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন বলেন এবার সরিষা চাষিদের ভাগ্যের চাক্কা ঘুরেছে। আশা করি ইরি-বোরো ধানেও এমনটা হবে আর এতে করে লাভমান হবে এঅঞ্চলের খেটে খাওয়া কৃষির উপর নির্ভশীল কৃষকরা।