সিংড়ায় জমজ তিন কন্যা শিশুর খাবারের জন্য আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের সহযোগিতা


সোহেল রানা, নাটোর প্রতিনিধি: জমজ তিন কন্যা শিশুর খাবার জগতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার এমন একটি সংবাদ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকা এবং সংবাদ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরে সেই পরিবারের ৩ কন্যা শিশুর খাবার কেনার জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
বুধবার প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব রাকিবুল ইসলাম ওই পরিবারে গিয়ে সুমি আক্তারের হাতে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তার টাকা তুলে দেন।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব রাকিবুল ইসলাম জানান, “জমজ তিন কন্যা শিশুর খাবার যোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবার” এমন একটি সংবাদ দেশের শীর্ষ স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে
মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাকে এই পরিবারে আর্থিকভাবে সাহায্য প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। আমি মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে এই পরিবারে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছি। মন্ত্রী মহোদয় নিয়মিত খোঁজখবর রাখছেন।
জমজ তিন কন্যা সন্তানের জননী সুমি আক্তার মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে তার স্বামীর চাকুরি এবং গৃহের আবেদন করেছেন বিষয়টি আমি মন্ত্রী মহোদয়ের কাছে উপস্থাপন করবো।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সিংড়া  প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মোঃ এমরান আলী রানা, সিংড়া মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি  আনোয়ার হোসেন আরিফ, সিংড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সৌরভ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়তুন বেগম সহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা।
জানা যায়, গত ৫ মাস আগে নাটোরের সিংড়া পৌর এলাকার আরিফুল ইসলামের স্ত্রী সুমি আক্তার একসঙ্গে তিন জমজ কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তিন জমজ কন্যা শিশুর নাম পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। তাদের সংসারে আগেও ৫ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা পাওয়ার পরে আবেগে আপ্লুত হয়ে সুমি আক্তার বলেন, মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় আমাদের পরিবারের অবস্থা বিবেচনা করে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন এজন্য মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সুমি আক্তার দাবি করে বলেন, আমার স্বামী একজন দিনমজুর তার একটা কর্মের ব্যবস্থা এবং আমাদের একটি গৃহের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা খুবই উপকৃত হতাম।
উল্লেখ্য, গতকাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির নির্দেশনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা খাতুনের তত্ত্বাবধানে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার ৬০ কেজি চাল দিয়েছেন।