সিংড়ার নিহত সাংবাদিক সোহেলের পরিবারের পাশে নাটোরের ডিসি শামিম আহমেদ


নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির চাপায় সিংড়ার নিহত সাংবাদিক সোহেল রানা’র পরিবারের পাশে আমৃত্যু থাকার আশ্বাস দিয়েছেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লায় সাংবাদিক সোহেল রানা’র নিজ বাড়িতে উপস্থিত হয়ে পরিবারের লোকদের সমবেদনা জানান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

তিনি সাংবাদিক সোহেল রানা’র স্ত্রী জনি খাতুনের কর্মস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করার এবং আমৃত্যু শোকসন্তুপ্ত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এসময় সাংবাদিক সোহেল রানা’র ১০ বছরের ছেলে সিয়ামের লেখাপড়ার দায়িত্ব গ্রহণ করেন সিংড়া পৌরসভার মেয়র ও সিংড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জান্নাতুল ফেরদৌস।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এম,এম, সামিরুল ইসলাম, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আল-আমিন সরকার, স্থানীয় কাউন্সিলর মেহেদী হাসান মিলনসহ গণমাধ্যম কর্মীরা।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ নিহত সাংবাদিক সোহেল রানা’র মা আলোমা বেঁওয়া, স্ত্রী জনি খাতুনকে সমবেদনা দেন, তাঁদের সাথে কথা বলেন এবং দুই সন্তান সিয়াম ও সামিয়াকে কোলে নিয়ে আদর করেন। জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, গতকালের দূর্ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক।

এ ঘটনায় আমরা মর্মাহত। নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে আমরা জেলা প্রশাসন ছুটে এসেছি। আমৃত্যু এই পরিবারের পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন। উল্লেখ্য, সাংবাদিক সোহেল রানা (৩৪) গতকাল সোমবার সকালে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কে নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি গাড়ির নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।

পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। সোহেল রানা শেরকোল আগপাড়া বন্দর উচ্চবিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। এছাড়া বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত সংবাদ পত্রিকার সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।