সিনজেনটা কোম্পানির গাফিলতি কীটনাশক সর্বরাহ না থাকায় নকল কীটনাশকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রৌমারী-রাজিবপুরের কৃষকরা


মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুর-দেওয়ানগুঞ্জের কিছু অংসে সিনজেনটা কীটনাশক সর্বরাহ বন্দ থাকায় ভূয়া কীটনাশকে কৃষকের সর্বনাশ। দীর্ঘদিন যাবৎ সিনজেনটা কীটনাশক ব্যবহার করে আসছিলেন দুই উপজেলার হাজারো কৃষক।এখন বর্তমান বোরো মৌসুমে হঠাৎ নেই এই কোম্পানির কীটনাশক রৌমারী-রাজিবপুরে নেই বললেই চলে। এবিষয় খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম তিনি এই কোম্পানির ষ্টকিষ্ট হিসাবে দীর্ঘ ১১টি বছর কীটনাশক সর্বরাহের দায়ীত্ব পালন করে আসছেন।

 

আরো জানা গেছে রফিকুল ইসলাম,অধ্যক্ষ বাংলাদেশ কৃষি বিদ্যালয় থেকে পাস করা একজন কৃষিবিদ। বোরো মৌসমের শুরুতে বিভিন্ন বাজারে রিটেইলারদের দোকানে সিনজেনটা কোম্পানির কোনপ্রকার কীটনাশক পাওয়া যাচ্ছেনা। এসুযোগে ভূয়া নকল সিনজেনটা কীটনাশক বিভিন্ন বাজারে হাওয়ার মতো ঢুকে কৃষকদের বোকা সাজিয়ে ক্ষতি করা হচ্ছে বলেও প্রমান পাওয়া গেছে।

 

এবিষয় রৌমারী- রাজিবপুরের বিভিন্ন বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন সিনজেনটা ডিলার কীটনাশক দিতে পারছেনা। আর এই সুযোগে অসাধু ব্যবসায়ীরা নকল সিনজেনটা কীটনাশক বাজারে সর্বরাহ করেই যাচ্ছে ধরার উপায় নেই। কে রাখে কারখবর কৃষক হুবাহুব সিনজেনটা লেখা দেখে ক্রয় করে জমিনে প্রয়োগ করার পর বুঝতে পারে এটি ভূয়া নকল।

 

যেমন ইতিমধ্যে ডাটিয়ারচর বাজারে থিয়োভিট,সানন্দবাড়ী বাজারে গ্রোজিন ধরা পরে। আবার রৌমারী বাজারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে গিয়ে নকল ভিরতাকোসহ একজনকে আটক করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। পরে মোবাইল কোর্টের আইনে ভূয়া নকল সর্বরাহের দায়ে তাকে তিন মাসের জেল দেওয়া হয়। আবার একই ঘটনায় নকল স্কোরের জন্য একজনকে ২৫ হাজার টাকা জরিমান করা হয়।

 

এবিষয় সিনজেনটা ষ্টকিষ্ট অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান বিগত ১১ বছর যাবত সুনামের সাথে সিনজেনটার ব্যবসা করে আসছি।এতো যাবৎ ভালো ভাবে সকল দোকানে প্রয়োজনীয় কীটনাশক সর্বরাহ করে আসছিলাম। সিনজেনটা মৌসুমের সময় ক্রেডিটে কীটনাশক দিয়ে সহযোগিতা করত।

 

গতবছর ৭০ লক্ষ টাকার কীটনাশক ক্রেডিটে দিয়েছিল। গতবছর করোনা ও বন্যার কারনে ৩/৪ মাসের ক্রেডিটের টাকা পরিশোধ করতে সমস্যা হয়েছিল। শুধু আমি না সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ষ্টকিষ্টদের একই অবস্থা ক্রেডিটের টাকা পরিশোধের সমস্যা হয়েছিল। পরে সেপ্টম্বর/ ২০২০ মাসে সিনজেনটার সকল টাকা পরিশোধ করে দিয়েছি। ২১ সালে ৪৫ লক্ষ টাকার কীটনাশক ক্রেডিট দেওয়া হয়। এবং বাংলাদেশ ইসলামী ব্যাংক লিমিডেট রৌমারী শাখায় আমার হিসাবের ৪৫ লক্ষ টাকার একটি চেক সিনজেটার শেরপুর মার্কেটিং অফিসার মিজান কে দেওয়া হয়।

 

গত ১২-০২-২১ইং ১২ লক্ষ টাকার কীটনাশকের অর্ডার করেছিলাম। তারপর থেকেই মার্কেটিং অফিসার মিজান জানায় দেয়দিচ্ছি এভাবেই বলে আসছেন তিনি এখন পর্যন্ত কীটনাশক দেয়নি। এইসব কারনে আমার এলাকায় সিনজেনটার কীটনাশক আসছে না। এবিষয় শেরপুর মার্কেটিং অফিসার মিজান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটি আমাদের কোম্পনির নিয়ম যখন যাকে খুসি তাকেই মাল দেবেন।

 

রফিকুল ইসলাম কথা কাজে মিল নেই যারফলে উনাকে ৫ লক্ষ টাকার মাল দিতে চেয়েছিলাম। তার প্রশ্নের জবাবে ৪৫ লক্ষ টাকার ক্রেডিটের চেক নেয়ার পর ৫ লক্ষ টাকার ক্রেডিট কেন এটি নাকি কোম্পানির নির্দেশ। সিনজেনটা কীটনাশ কোম্পানির ময়মনসিংহ ব্রাঞ্চের আর এস,এম,মাসুদ বলেন কিছু সমস্যা হয়েছে এটি এসপ্তাহের মধ্যেই সমাধান করবে বলে জানান।

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার হোসেন এর কাছে নকল কীটনাশক সর্বরাহের বিষয়টি তিনি বলেন যে কেউ কৃষকের ক্ষতি করার চেষ্টা করুক না কেন আমরা ছাড় দেবনা।