২৩ মে পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধ, প্রজ্ঞাপন জারি


নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আগামী ২৩ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে আজ রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে লকডাউন বাড়ানো সংক্রান্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুমোদন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এ সময় শহরে তথা জেলার ভেতরে গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। আগের নির্দেশনা মতে, এক জেলা থেকে অন্য জেলায় গণপরিবহণ বন্ধ থাকবে। তাছাড়া নৌ, ট্রেন ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

সরকারের রাজস্ব আদায়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব দপ্তর, সংস্থাসমূহ জরুরি পরিষেবার আওতামুক্ত থাকবে। খাবারের দোকান, হোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো কেবল খাবার বিক্রি বা সরবরাহ করতে পারবে।

 

এর আগে শনিবার বিধিনিষেধ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। শনিবার বিকেলে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এনটিভিকে বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ১৬ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে, রোববার প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।

 

ফরহাদ হোসেন এর আগে এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ২৩ মে পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, অফিস খুললে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।  চলমান বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে ১৬ মে। এ ছাড়া ‘সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮’ সংশোধন করে জনগণের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করতে পুলিশকে বিচারিক ক্ষমতা দেওয়া হবে।

 

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ আইনের অধীনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এখন এ আইন সংশোধন করে পুলিশকে ক্ষমতা দেওয়া হচ্ছে। আরও এক সপ্তাহ বাড়লে বিধিনিষেধ ২৩ মে পর্যন্ত চলে যাবে।’

 

‘দেশে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে। এতে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে। আর এ কারণেই সংক্রমণ এড়াতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে’, যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

 

এর আগে কোভিড-১৯ সংক্রমণ আর মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি রুখতে সারা দেশে গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় সাতদিনের বিধিনিষেধ। লকডাউন শেষে দুদিন বিরতির পর গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে আটদিনের কঠোর বিধিনিষেধ শুরু হয়। সেই মেয়াদ শেষ হয় গত ২১ এপ্রিল মধ্যরাতে।

 

তবে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় বিধিনিষেধের মেয়াদ ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়। পরে লকডাউন বাড়ানো হয় ৫ মে পর্যন্ত। এরপর গত ৩ মে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আবারও লকডাউন বাড়িয়ে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।