৩ বছর ধরে কাস্ট করে বাদ দেওয়া হচ্ছে, সিন্ডিকেটের খেলায় অসুস্থ দীঘি


চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘ তিন বছর ধরে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রির রাজনীতির শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তরুণ চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ইন্ডাস্ট্রির সিন্ডিকেটের কবলে পড়ে অসুস্থ ও ক্লান্তও বোধ করেছেন এই অভিনেত্রী।

অন্তর্জালে বিস্ফোরক অভিযোগ এনে দীঘি কৌশলে বলছেন, তাঁকে কাস্ট করার পরে না জানিয়ে অন্যজনকে নিয়ে নেন পরিচালক। সে খবর আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকেই পান অভিনেত্রী।

দীঘির ভাষ্য, তুমি জানো একা স্টারকিড হওয়ার লড়াই, যার মূল তারকাই তার সঙ্গে নেই। প্রায় সময়ই আমি অনেকের পোস্ট দেখি যে তারা নতুন হিসেবে কাস্ট হচ্ছে। তখন আমি হাসি, মানুষ কেন মিথ্যা আশা দেয় আরেকজনকে, যেখানে তারা আমার ওপর ও আমার দক্ষতা নিয়ে সন্তুষ্ট নয়…।  যারা নতুন প্রোজেক্টে নতুন জার্নি শুরু করতে যাচ্ছে তাদের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। কিন্তু ওই ধরনের ভুয়া মানুষের কথা শুনতে শুনতে আমি ক্লান্ত, যারা আমাকে মিথ্যা আশা দেয় এবং দিন শেষে আমাকে অপমানিত করে।

চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর হয় উল্লেখ করে দীঘি আরও বলছেন, আমাদের এই ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি নিষ্ঠুর। আমার কোনো অনুশোচনা নেই, কেননা আমি আমাকে চিনি, জানি আমার দক্ষতা সম্পর্কে। যারা সত্যি আমাকে ভালোবাসে তাদের দোয়া আমার সঙ্গে আছে এবং সিম্পলি আমি আল্লাহর ওপর আস্থা রাখি।

এমন সিন্ডিকেটে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন দীঘি জানিয়ে বলেছেন, আমার এই লেখার কোনো উদ্দেশ্য নেই। এটা সবাই জানেন। আর এই ক্ষোভ আমি তিন বছর ধরে বুকে পুষে চলেছি। আমি একেবারে ক্লান্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েছি এই সিন্ডিকেটের খেলায়, দুঃখিত।

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি ছোটবেলায় বাবার কাছে ময়না পাখির নাম ধরে ডাকার সংলাপ বলে দেশজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন। সেই সাড়া এতটাই ছিল যে নিজের প্রথম ‘কাবুলিওয়ালা’ সিনেমায় অভিনয় করে দীঘি জিতে নিয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সময়টা ২০০৬ সাল।

দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেই দীঘির নামের আগে ‘নায়িকা’ তকমা লেগেছে গত বছরের মার্চে। মুক্তি পেয়েছে তাঁর অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘তুমি আছো তুমি নেই’। এর পর ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই’ শিরোনামে আরও একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে দীঘির। বর্তমানে হাতে আছে বেশ কিছু সিনেমা ও ওয়েব ফিল্ম।