অধরাই রয়ে গেছে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে পাথরের গাড়িতে চোরাচালানে জড়িত মূল হোতারা


চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি: দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর চাপাইনবাবগঞ্জের স্থলবন্দর। প্রতিনিয়ত পাথর, পেঁয়াজ ও ফল সহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই হাজার হাজার ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে এই বন্দর দিয়ে। দেশের অর্থনীতিতেও রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই সোনামসজিদ স্থলবন্দর। কিন্তু মাঝে মধ্যেই পণ্য আমদানির আড়ালে চলছে অবৈধ চোরাচালান। তবে কোন অজ্ঞাত কারণে প্রায়ই ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন এর মূল হোতারা।
সম্প্রতি গত শনিবার (৩ জুন) সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে প্রবেশের সময় ৩টি পাথর বোঝাই ভারতীয় ট্রাকে পাথরের ভিতর থেকে ৮৫ টি ভারতীয় মোবাইল ফোন ও ১ টি ভারতীয় মদের বোতল উদ্ধার করে কাস্টমস ও বিজিবি। কিন্তু অবৈধ এসব পণ্য সহ ৩ টি ট্রাক জব্দ হলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন ট্রাক -চালক সহ মূল হোতারা। এতে হতাশা ব্যক্ত করছেন বিভিন্ন আমদানি ও রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা। বন্দরের ভাবমূর্তি নষ্ট সহ রাজস্ব ঘাটতিতেও প্রভাব ফেলছে এসব চোরাচালানের ঘটনা।
মোবাইল ফোন ও মদের বোতল উদ্ধার হওয়া ট্রাকে বোঝাইকৃত পাথরের আমদানিকারক ও দেশ ডিজিটালের প্রোপ্রাইটর মো. আলহাজ উমর ফারুক সুমন ঘটনার সাথে নিজের কোন সম্পৃক্ততা না থাকার কথা জানিয়ে বলেন, ভারতীয় চালকদের সাথে বাংলাদেশের কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের যোগাযোগ থাকে। চালকদের সাথে কথা বলেই মূলত তারা এসব অবৈধ পণ্য আমদানি করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা এমন চোরাচালানের ঘটনায় নিজেও বিব্রত বলে জানান এই আমদানিকারক।
এসময় এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ও দাবি জানান তিনি। সোনামসজিদ স্থলবন্দর আমদানি ও রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি কাজী সাহাবুদ্দীন বলেন, পণ্য বোঝাই ট্রাকে চোরাচালান খুবই দুঃখজনক। তবে এক্ষেত্রে গাড়ি চালক ও সহকারির ভূমিকা বেশি। আমরা প্রশাসনের কাছে তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছি। স্থলবন্দর কাস্টমস সুপার মো. ইউনুস আলী জানান, বন্দর দিয়ে চোরাচালানের ঘটনা অনেক দুঃখজনক আমাদের সাধ্যমতো তা রোধে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
সম্প্রতি গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বিজিবির সহায়তায় ৩ টি ভারতীয় ট্রাক থেকে ভারতীয় মোবাইল ফোন ও মদের বোতল উদ্ধার ও জব্দ করি। তবে চালক না থাকায় আমরা তাকে আটক করতে পারিনি।
উল্লেখ্য, বিগত দিনে ভারতীয় ট্রাকে বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, গান পাউডার সহ বিভিন্ন প্রসাধনী আটক করা হয়েছে। তবে অজ্ঞাত কারণে অধরায় রয়ে গেছে, অবৈধ ভাবে চোরাচালানের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত মূল হোতারা।