রাপ্র ডেস্ক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি ‘মৃত্যুদণ্ডের বিধান’ রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের যে খসড়া মন্ত্রিসভায় চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে, অধ্যাদেশ আকারে জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে রাষ্ট্রপতির এ অধ্যাদেশ জারির মুহূর্ত থেকেই এটি আইনে পরিণত হলো।
এর আগে গতকাল সোমবার (১২ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃতুদণ্ড’-এর বিধান রেখে এ সংক্রান্ত আইনে সংশোধনী আনার প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় সরকার।
গতকালই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবারই রাষ্ট্রপতি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এটি কার্যকর হবে। অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকে এটি আইনে পরিণত হবে। এর আগে এটির আইনি যাচাই (ভেটিং) হবে।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, যেহেতু সংসদ অধিবেশন আপাতত চলমান নেই, তার সরকার সংশোধিত আইনটি একটি অধ্যাদেশ হিসেবে জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ধর্ষণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করার জনদাবি আসায় সেটি বিবেচনায় নিয়েছে সরকার।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিবস্ত্র করে নারীর শ্লীলতাহানি, সিলেটের এমসি কলেজে তুলে নিয়ে নববধূকে ধর্ষণসহ সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া নারীর ওপর ধর্ষণ-গণধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের প্রতিবাদে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশজুড়ে বিক্ষোভ চলছে।
এরইমধ্যে আন্দোলনকারী বিভিন্ন ছাত্র ও অধিকার সংগঠনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি বাড়িয়ে ‘মৃত্যুদণ্ড’ করার উদ্যোগ নেয়।
আইন ও সালিম কেন্দ্রের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৯৭৫টি ধর্ষণকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার অভিযোগ এসেছে। দেশে গড়ে মাসে শতাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।