![](http://rajshahipratidin.com/wp-content/uploads/2022/08/image-187630-1659941727.jpg)
দেশীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে টেকনিক্যাল দিক থেকে শুরু করে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। বিদেশের সিনেমার মতো অ্যাকশন তার সিনেমার মাধ্যমেই দর্শক প্রথমবার দেখার সুযোগ পেয়েছেন। তিনি অনন্ত জলিল।
দীর্ঘ আট বছর পর গত ১০ জুলাই মুক্তি পেয়েছে অনন্ত জলিলের নতুন সিনেমা ‘দিন দ্য ডে।’ বরাবরের মতো এবারও তার সঙ্গী হয়েছেন বর্ষা। এই সিনেমায় গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা গেছে ঢাকাই সিনেমার খ্যাতিমান অভিনেতা মিশা সওদাগরকে।
একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিশা সওদাগর বলেন, অনন্ত জলিলের দাবি, শত কোটি টাকা দিয়ে ‘দিন দ্য ডে’ নির্মাণ করা হয়েছে। এতে দর্শক হয়তো বিনোদন পেয়েছে, কিন্তু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির তো কোনো লাভ হয়নি।
এই অভিনেতার ব্যক্তিগত মতামত, এত বড় অঙ্কের টাকা দিয়ে তিনি (অনন্ত জলিল) ফিল্ম স্টুডিও, প্রোডাকশন হাউস, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বানালে অভিজ্ঞ, প্রবীণ ও এই সময়ের মেধাবী নির্মাতা, যোগ্য শিল্পী কলাকুশলীরা কাজ করতে পারবেন।
এতে চলচ্চিত্রশিল্পের প্রভূত উন্নতি হবে। শত কোটি টাকা দিয়ে একটি সিনেমা না বানিয়ে এই অর্থে বছরে কমপক্ষে অর্ধশত সিনেমা নির্মাণ করলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির চেহারা পাল্টে যেতে বাধ্য। এতে অনন্ত জলিল ‘কালচারাল ইমপোর্টেন্ট পারসন’ এবং চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি হয়ে উঠতে পারবেন।
‘দিন দ্য ডে’ সিনেমার নিমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও কেন যাননি, এমন প্রশ্নের জবাবে মিশা সওদাগর জানান, আমি দেশে আসার সঙ্গে সঙ্গেই ‘পরাণ’ সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজক দাওয়াত দিয়েছেন। অন্যদিকে অনন্ত জলিল যখন আমাকে ফোন দিয়ে যেতে বলে, তখন অলরেডি আমি ‘পরাণ’ দেখছি। আমি ইচ্ছা করে যে ‘দিন দ্য ডে’ দেখতে যাইনি, তা তো নয়।
কাজের ব্যস্ততা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ছটকু আহমেদ, মনতাজুর রহমান আকবর, মান্নু, রাফি, আরটিভির একটি সিনেমাসহ অনেক কাজ আমার হাতে আছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ও ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে ‘দিন-দ্য ডে’। সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। এই সিনেমার বাংলাদেশের অংশের প্রযোজক অনন্ত জলিল। অর্থাৎ বাংলাদেশে শুটিংয়ে যে অর্থ ব্যয় হয়েছে, তিনি সেই অংশটুকুতেই লগ্নি করেছেন।
অন্যান্য দেশের শুটিংয়ে ব্যয় বহন করেছে ইরানি প্রযোজক। বাজেটের কারণে বেশ আগে থেকেই আলোচনায় ছিলো ‘দিন-দ্য ডে’। মুক্তির পরেও কম আলোচনা-সমালোচনা হয়নি।