তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য, রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধির জন্য, পিআর অথবা লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকেও বলা হয়েছে আমরা পিআর ফার্ম নিয়োগ করেছি। এগুলো করার কারণেই আমাদের রপ্তানি বাণিজ্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সুতরাং এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই।
আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও দেশবিরোধী অপপ্রচারের অংশ হিসেবে, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ও বিদেশের কাছে দেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। দেশের বিরুদ্ধে, দেশকে সাহায্য দিতে নিষেধ করে, সাহায্য দিলেও সেটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার জন্য বিদেশে চিঠি দেওয়ায় মির্জা ফখরুল সাহেবের বিচার হওয়া উচিত, বিএনপিরও বিচার হওয়া উচিত।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এতো কিছুর মধ্যেও আমাদের রপ্তানি পঞ্চাশ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সরকার যা করে, আমরা তাই করেছি এবং সেগুলো ‘ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট’সরকারি চুক্তি। সুতরাং এখানে প্রশ্ন রাখার কিছু নেই। বিএনপি মহাসচিব দেশকে সাহায্য দেওয়া বন্ধের জন্য যে চিঠি লিখেছেন, এটি যদি ইউরোপের কোনো দেশ হতো তাহলে মির্জা ফখরুল সাহেব ও বিএনপির বিরুদ্ধে মামলা হতো। তিনি রাজনীতিতে অযোগ্য হতেন এবং তার বিচার হতো।
করোনার টিকার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার দেশের মানুষকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য টিকা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে এবং করে যাচ্ছে, এটি বহু উন্নয়নশীল দেশ করতে পারেনি। যে ভাসমান জনগোষ্ঠী, বস্তিবাসী ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা টিকা পাচ্ছেন, তারা ধারণাই করেনি যে সরকার এভাবে টিকা দেবে। সরকার খুঁজে খুঁজে বের করে মানুষকে টিকা দিচ্ছে। এটি বহু দেশ করতে পারেনি।
‘সরকার যে আজকে দশ কোটি মানুষকে প্রথম ডোজ টিকা দিয়েছে, দ্বিতীয় ডোজসহ ষোল কোটির বেশি মানুষ টিকা পেয়েছে, আর বুস্টার ডোজ তো আছেই। এ অবস্থায় টিকা নিয়ে আগে যারা সমালোচনা করেছিলেন, পরে টিকা নিয়েছিলেন এবং পরে বুস্টার ডোজও নিয়েছেন, তাদেরকে অনুরোধ জানাবো এখন কিছু বলার জন্য’বলেন ড. হাছান।
ইসি সার্চ কমিটির বিষয়ে বিএনপির মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী বলেন, ‘আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে এবং সেখানে দুজন বাদে বাকিরা সবাই সাংবিধানিক পদধারী। সাংবিধানিক পদধারীরা কোনো দলের নয়, সরকারেরও নয়। কারণ রাষ্ট্রপতি কিংবা সরকার তাদেরকে সরাতে পারবে না, সেটির নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। আর সুশীল সমাজের দুজন অত্যন্ত নিরপেক্ষ এবং শ্রদ্ধেয় মানুষ হিসেবে সুপরিচিত। সুতরাং এই সার্চ কমিটি নিয়ে আসলে বিরূপ মন্তব্যের কোনো সুযোগ নেই।
