ইউএনও’র প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলেছে আদিবাসি মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের পাঁকা বাড়ি নির্মান


 প্রধান মন্ত্রীর উপহার 

তানোরে ইউএনও’র প্রচেষ্টায় এগিয়ে চলেছে আদিবাসি মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের পাঁকা বাড়ি নির্মান  

 

সাইদ সাজু, তানোর :  তানোরে ইউএনও’র প্রচেষ্টায় প্রধান মন্ত্রীর উপহার আদিবাসি সেই বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নের পাঁকা বাড়ি নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষের দিকে হস্তান্তর করার লক্ষে ২লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে পাঁকা বাড়ির নির্মান কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। 

প্রধান মন্ত্রীর টাকায় নিজের ভিটায় পাকা বাড়ি নির্মান শুরু হওয়ায় আদিবাসি এই বীর মুক্তিযোদ্ধার মনে স্বাধীনতার উৎসাহ ও উৎফুল্লতা বিরাজ করছে। তিনি বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ৪৯বছর পর হরেও আমাদের মত মুক্তিযোদ্ধাদের দেয়া এ সম্মান খুবই গৌরবের। মনে হচ্ছে যে চিন্তা ও চেতনা নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিলাম এটি তারই পুরুস্কার।

‘তানোরে ১০বছরে বসতবাড়ি নিজের নামে করাতে পারেননি আদিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি’ শিরোনামে গত (২৫ জুলাই) দৈনিক সোনালী সংবাদ পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।

পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ দেখে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো গত (২৯জুলাই) সন্ধ্যায় নাইকা মার্ডির বাড়িতে গিয়ে প্রধান মন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী প্রদান করেন এবং প্রধান মন্ত্রীর পক্ষ থেকে একটি পাঁকা বাড়ি নির্মান করে দেয়ার আশ্বাষ দেন।

এরই প্রেক্ষিতে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো নিজ প্রচেষ্টায় গত (২২শে আগষ্ট) নাইকা মার্ডির ওই খাস জায়গায় ২লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যায়ে প্রধান মন্ত্রীর উপহার পাঁকা বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করেছেন।

এবিষয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ প্রকল্পের আওতায় ২লাখ ২০হাজার টাকা ব্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডির সেই সবতভিটায় পাকা বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করা হয়েছে।

তিনি বলেন, চলতি মাসের শেষের দিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডির নামে জায়গার দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করার লক্ষে বাড়ি নির্মান দ্রুত এগিয়ে চলেছে।

উল্লেখ্য, তানোর উপজেলার মোহাম্মদপুর আদিবাসী পাড়ায় ৪শতক সরকারী খাস জমিতে স্বাধীনতার অনেক আগে থেকেই বাড়ি-ঘর বানিয়ে বসবাস করছিলেন আদিবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা নাইকা মার্ডি।

এ অবস্তায় ৪ ছেলের ভবিষতের কথা চিন্তা করে বাড়ির ওই ৪শতক খাস জায়গা নিজের নামে করানোর জন্য ১০বছর ধরে ভুমি অফিসসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মিদের কাছে ধর্না দিয়েও বাড়ির ওই খাস জায়গা নিজের নামে করাতে পারেননি।