![](http://rajshahipratidin.com/wp-content/uploads/2022/08/jelenski_0.jpg)
দক্ষিণ ইউক্রেনের রুশ সামরিক বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় জাপোরিজ্জিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো ‘ধ্বংসযজ্ঞ’ ঘটলে তা গোটা ইউরোপের জন্য হুমকি বয়ে আনতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ভিডিওবার্তায় এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
জেলেনস্কি বলেন, ‘জাপোরিজ্জিয়া পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে আশপাশের শহরগুলোতে এবং বসতি এলাকায় গোলাবর্ষণ করছে রুশ বাহিনী। জাপোরিজ্জিয়ায় র্যাডিয়েশনজনিত কোনো দুর্ঘটনা ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো এবং তুরস্ক, জর্জিয়া কিংবা এর চেয়েও দূর অঞ্চলের দেশগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘রাশিয়ার কারণে যদি কোনো বিপর্যয় নেমে আসে, এর ফলাফল তাদেরকেও ভোগ করতে হতে পারে; যারা (আগ্রাসন) শুরু থেকে এখন পর্যন্ত চুপ রয়েছে।’
অন্যদিকে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী পরমাণুভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে অস্ত্রাগার হিসেবে ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ইউক্রেন সরকার।
বরাবরের মতো সোমবারের বক্তৃতায়ও আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতি রাশিয়ার ওপর আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানান ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি বলেন, ‘জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশ থেকে বিনাশর্তে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহার করতে হবে।’
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/very_big_1/public/images/2022/08/16/jelenski-insaartt.jpg?itok=ZpcHAIPo×tamp=1660651258)
মার্চের শুরুর দিকে জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র দখলে নেয় রুশ বাহিনী অর্থাৎ ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই এটি রাশিয়ার দখলে চলে যায়। গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি বৈঠক করে। এতে আলোচনার বিষয় ছিল জাপোরিজ্জিয়া পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।