
সম্প্রতি যে প্রাণঘাতী অভিযানের মাধ্যমে ইসরায়েলি বাহিনী চার জিম্মিকে মুক্ত করেছে, সেই অভিযানের কারণে তাদের ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীর যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
লরেন্স বলেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় জিম্মিদের আটকে রাখার মাধ্যমে আশপাশের বেসামরিক নাগরিক ও জিম্মিদের ‘বাড়তি ঝুঁকিতে’ ফেলছে। জেনেভায় জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে লরেন্স আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষের এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের শামিল হতে পারে।’
ইসরায়েলি সামরিক অভিযান এবং ৭ অক্টোবর থেকে আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা সংঘাতের কথা উল্লেখ করে লরেন্স বলেন, ‘এটি ছিল বিপর্যয়কর, যেভাবে আকস্মিক ও তীব্র সহিংস অবস্থার মধ্যে বেসামরিক নাগরিকরা আটকা পড়ে গেছে।’
জিম্মিরা ও তাদের পরিবার যে ‘অগ্নিপরীক্ষার’ মুখোমুখি হয়েছে সে বিষয়টি তুলে ধরে লরেন্স বলেন, চারজন জিম্মি এখন মুক্ত, এটা নিঃসন্দেহে খুব ভালো খবর। এই জিম্মিদের কখনোই ব্যবহার করা উচিত ছিল না, যা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন। যত শিগগিরই সম্ভব হয়, তাদের মুক্তি দিতে হবে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আক্রমণে প্রায় এক ২০০ মানুষের মৃত্যু হয়। এ সময় প্রায় ২৫০ জনকে অপহরণ করে হামাস। এরপরই ফিলিস্তিনে হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এ হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩৬ হাজার ৭৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।