ইসি গঠন কিংবা বাতিল সরকারের কাজ নয়: কাদের


নির্বাচন কমিশন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আমলে কমিশন গঠনে কখনো আওয়ামী লীগের নাম নেওয়া হয়নি। নির্বাচন কমিশন গঠন কিংবা বাতিলের এখতিয়ার সরকারের নয়। সময় হলেই রাষ্ট্রপতি যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।

শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় যুক্ত হন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন বিষয়ক বিষয়াদি নির্বাচন কমিশনের এখতিয়ার। এবিষয়ে সরকারের কেন বক্তব্য নেই। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। সরকারের কোন বক্তব্য থাকলে সরকারও নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। সুষ্ঠু, অবাধ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে ভবিষ্যতেও সংবিধান অনুযায়ী সরকার সহযোগিতা করবে, এটা সরকারের সাংগঠনিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠন একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হয়। কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠন করেন, যার মধ্যে বিএনপির প্রতিনিধিও ছিলো। এখন নির্বাচন কমিশনে বিএনপি সমর্থিত প্রতিনিধি আছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নির্বাচনে জয়ী হলে বলে আরও বেশি ভোটে জয়ী হতো,আর পরাজিত হলে বলে কারচুপি করে হারিয়ে দিয়েছে।

এসময় পদ্মাসেতুর নির্মাণ অগ্রগতি তুলে ধরে সেতুমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত মোট ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ৩১টি স্প্যান বসানো হয়েছে। বর্তমানে দৃশ্যমান হয়েছে ৪ হাজার ৬৫০ মিটার। পদ্মাসেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৮১ ভাগেরও বেশি এবং মূল সেতুর প্রায় ৯০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

তিনি বলেন, ৪২টি পিয়ারের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে এবং নদী শাসনের কাজ প্রায় ৮৪ ভাগ শেষ হয়েছে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে সংযোগ সড়ক ও টোল প্লাজার কাজও ইতিমধ্যে শেষ।

সড়কমন্ত্রী বলেন, ঢাকা হতে মাওয়া এবং পাচ্চর হতে ভাঙ্গা পর্যন্ত দেশের প্রথম দৃষ্টিনন্দন এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শেষ হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মুক্ত করবেন যানচলাচলের জন্য।

এ সময় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে উপস্থিত ছিলেন সেতু সচিব মো. বেলায়েত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।