উপবৃত্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের সুবিধা বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা


মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের উপবৃত্তি থেকে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ১৬৯ জন শিক্ষার্থী। সুবিধা বঞ্চিত হওয়ায় উপবৃত্তিার দাবিতে মাবনবন্ধন করেছে ওই কলেজের শির্ক্ষাথীরা। উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির দাবীতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় কলেজ পরিচালনা কমিটির সার্থের দ্বন্দ্বে পিষ্ট কলেজের শির্ক্ষাথীরা।

অভিভাবকরা বলছেন কমিটির সঙ্গে অধ্যাক্ষ দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে এমন ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে জানান তারা। উপজেলা শিক্ষা অফিস ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, দারিদ্রপীড়িত ও পিছিয়ে পড়া এলাকা বিবেচনা করে সরকার কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলাকে শতভাগ উপবৃত্তির আওতাভুক্ত করেন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে যাদুরচর ডিগ্রি কলেজের ১৬৯জন শিক্ষার্থী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপবৃত্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি ততকালীন দায়ীত্বরত অধ্যাপক্ষ ফলে এমনটি হয়েছে।

সচেতন মহলগন বলছেন কর্তৃপক্ষের ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবহেলার কারণে সঠিক সময়ে শিক্ষার্থীদের কাগজপত্র অনলাইন বা জমা করা হয়নি উপবৃত্তি কার্যালয়ে। যার ফলে উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত হলো যাদরচর কলেজের শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শির্ক্ষাথী রাজু আহম্মেদ,শির্ক্ষাথী শাহানাজ পারভীনসহ আরও অনেকেই।

এবিষয় যাদুরচর ডিগ্রী কলেজের ততকালীন অধ্যাক্ষ শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দিতে রাজি নয়। তারপরেও তার বক্তব্য কিন্ত যেভাবেই হোক নেওয়া হয়েছে। তিনি এবং কলেজের কমিটি মিলেই এই নাটকটি সাজিয়ে শির্ক্ষাথীদের উপবৃত্তি থেকে বঞ্চিত
করার হয়েছে বলে জানা গেছে।

এদিকে ওই কলেজের অধ্যাক্ষ রফিকুল ইসলামকে সেসময় কলেজ কমিটির সকলই তাকে কলেজ থেকে বহিস্কার করা হয়। পরে রফিকুল ইসলাম হাই কোর্ট করে তার পদকে বহাল করা হয়। সেসময় কিন্ত উপবৃত্তির অনলাইন করার সুযোগ ছিলো না বলে জানায় অধ্যাক্ষ রফিকুল ইসলাম।

উপবৃত্তির দাবিতে শির্ক্ষাথীদের লিখিত অভিযোগের বিষয় রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন
আমি অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত রির্পোট পেলেই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।