এই শেষবার চিরপরিচিত আঙিনায় বাদল রায়


জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য ফুটবলার বাদল রায়কে শেষবারের মতো নেয়া হয়েছে তার জীবনের বহু স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে তাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদল রায়ের ভক্ত-সতীর্থ ও সমর্থকরা প্রিয় ফুটবলারকে চিরদিনের মতো বিদায় জানাতে সকাল থেকেই স্টেডিয়ামের কুয়াশা ভেজা সবুজ ঘাসে উপস্থিত হতে থাকেন।

এদিকে বাদল রায়কে বিদায় জানাতে মোহামেডান স্পোর্টিয় ক্লাবে নেয়া হয়। মোহামেডান স্পোর্টিয় ক্লাবের সঙ্গে তার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। সেখানে তার মরদেহ নেয়ার পর আবেগঘন পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

গতকাল রবিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবেক ফুটবল তারকা বাদল রায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

এর আগে হঠাৎ অসুস্থ বোধ করলে গত ৫ নভেম্বর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বাদল রায়কে। অবস্থার অবনতি হলে নেয়া হয় স্কয়ার হাসপাতালে । সেখানেই তার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে তাকে বাংলাদেশ মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

২০১৭ সালেও মস্তিষ্কে রক্তক্ষণের কারণে চিকিৎসা নিয়েছিলেন বাদল রায়। বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে দেশে ফেলেন মোহামেডান স্পোর্টিয় ক্লাবের এই কিংবদন্তি ফুটবলার।

বাংলাদেশের ফুটবলে আশির দশকে অন্যতম বড় তারকা ছিলেন বাদল রায়। জাতীয় দল ও মোহামেডানকে বহুবার সফলতা এনে দিতে ভূমিকা রেখেছেন। খেলোয়াড়ি জীবন শেষে মোহামেডান স্পোর্টিয় ক্লাবের ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

এছাড়াও তিন মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সহ-সভাপতি ছিলেন। এর আগেও বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন ফুটবলের এই নন্দিত তারকা।

ফুটবল মাঠের বাইরে রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন বাদল রায়। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পাওয়া এই ফুটবলার ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করেরন। সেই নির্বাচনে তিনি হেরে যান।