সালাউদ্দিন সরকার : একাত্তরে রাজশাহী উপশহর: গণহত্যা, নির্যাতন ও গণকবর শীর্ষক একটি গবেষণামূলক বইয়ের মোড়ক উন্মোচিত করা হয়েছে। গতকাল সকাল ১১ টায় নগরীর উপশহরে অবস্থিত শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গ্রন্থটির অনুষ্ঠান আয়োজন করে গবেষণা ও উন্নয়ন কালেকটিভ (আরডিসি) ও জন-ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র, ঢাকা।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ১৯৭০ সালের রাজশাহী থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এ এইচ এম আব্দুল হাদী, অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, মাজহারুল ইসলম অধ্যাপক ড.মো. ইলিয়াস উদ্দিন, বইটির লেখক অধ্যাপক ড. মেসবাহ কামাল, হারুন অর রশীদ সিদ্দিকী সাপলু ও শাহীন তন্দ্রা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন, বইটির প্রকাশক ও আগামী প্রকাশনীর স্বাধিকারি ওসমান গনি। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে অনেক ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। যা দূর করতে হলে বেশি বেশি সংস্কৃতি চর্চা করতে হবে এবং দেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে।
বইটির লেখক মেসবাহ কামাল বলেন,ইতিহাসের উৎস হলো মানুষ। ইতিহাসের ওপর মানুষের অধিকার রয়েছে এবং মানুষই ইতিহাস তৈরি করে।ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য দরকার লিখিত হওয়া। কারণ ২-৩ প্রজন্ম পর ইতিহাস মুখে বলে শোনানোর মতো কেউ থাকে না। সেজন্য সকলকে ইতিহাস জানানোর উপায় হলো লিখিত ইতিহাস।
তিনি আরো বলেন, একাত্তরে হানাদার বাহিনী রাজাকারদের সাথে মিলে টার্গেট কিলিং ও গণহত্যা চালায়। রাজকারদের বিচার শুরু করতে হবে, যুদ্ধপরাধের বিচার অব্যাহত রাখতে হবে।আব্দুল হাদী একাত্তরে নগরীতে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ইতিহাস তুলে ধরেন।
জন-ইতিহাসের সভাপতি অধ্যাপক ড.আবুল কাশেম বইটির বিভিন্ন ভুল-ভ্রান্তি নিয়ে আলোচনা করেন এবং তা সংশোধনের চেষ্টা করতে বলেন।
এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে আরডিসির উপ- পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক রুহুল আমিন প্রামানিক, লেখক হারুন অর রশীদ সিদ্দিকী সাপলু ও কামারুজ্জামান সরকারি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড.মো. ইলিয়াস উদ্দিন বক্তব্য দেন।