মন্ত্রী হওয়ার ফোন পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন—বুধবার সন্ধ্যায় এই বাক্য নিয়ে ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ঝড় ওঠার পেছনে বড় কারণ—পূর্ণ মন্ত্রী হওয়া পাপন লম্বা সময় ধরে পালন করছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতির দায়িত্ব। তিনি যখন মন্ত্রীসভায় যাচ্ছেন তখন বিসিবিপ্রধান-এর পদ নিয়ে কৌতুহল জাগা অমূলক নয়।
মন্ত্রী সভায় যাওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেছেন, ‘প্রথম কথা হচ্ছে বিসিবির সঙ্গে এটার কোনো সম্পর্ক নেই। আগেও আমাদের এখানে অনেক মন্ত্রী ছিলেন, যারা বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। বিদেশেও আছে। সেটি ইস্যু না। আমার এই টার্মটা শেষ হবে আগামী বছর। আমার আগে থেকেই ইচ্ছে ছিল, এই মেয়াদেই দায়িত্ব ছাড়ার। আমি চেষ্টা করব এ বছর শেষ করার। তা ছাড়া, আইসিসির কিছু নিয়ম কানুন আছে। ওদের আবার বেশ কিছু কমিটিতে আছি আমি। কিছুর চেয়ারম্যান পদেও আছি। ওদের ওই টার্মটা শেষ করতে হবে। কারণ, ওরা নিয়ম চেঞ্জ করে না। ’
বিসিবির দায়িত্ব কবে ছাড়বেন, তার উত্তর সময়ের হাতে। নিজের কথায় কিছুটা আভাস দিয়ে রেখেছেন পাপন। এর আগে মন্ত্রীত্ব পাওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী একটা নতুন দায়িত্ব দিয়েছেন। যদিও জানি না পোর্টফোলিওটা (কোন মন্ত্রনালয়) কী! যেটাই হোক চেষ্টা করব ঠিকভাবে পালন করার। যেহেতু, আমার জন্য বিষয়টি একেবারে নতুন।’
২০০৯ সালে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান দেশের ১৯তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তার ছেলে পাপন আওয়ামী লীগ থেকে বিজয়ী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরের দুই মেয়াদেও এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন তিনি। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে জয়লাভ করেন।