
হাঁসেদের এমন প্যাক প্যাক শব্দে সকাল শুরু হয় নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার ভাবিচা বিলে।
এই বিলেরপাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে ভ্রাম্যমাণ হাঁসের খামার। এইসব হাঁসখামারে হাঁস লালন পালনে যেমন খরচ কম তেমনি লাভবানও হচ্ছে খামারিরা এমনটি জানিয়েছেন তাঁরা। সরেজমিনে কয়েকদিন আগে সকালে ভাবিচা বিলে হাঁসখামারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ২ হাজার হাঁস প্যাক প্যাক শব্দে ভেসে বেড়াচ্ছে বিলের খালের পানিতে। খালের পাড়ে দাঁড়িয়ে দুইজন লোক হাঁসেদের দেখভাল করছেন। খালের পাড়ে তৈরি করা হয়েছে হাঁসের খামার। সেখানে একচালা ছোটঘর করে থাকেন খামারী।
এ নিয়ে হাঁসখামারী মোঃ আজাহার আলী বলেন, দিনভর বিলে চরে হাঁসগুলো। ঘুরে ঘুরে খায় প্রাকৃতিক খাবার। বাড়তি খাবার দেয়ার তেমন প্রয়োজন পড়ে না। সকালে অল্প করে ধান খেতে দেয়া হয়। এ ছাড়া খাল ও বিল কেন্দ্রিক খামারীদের হাঁস পালনে তেমন একটা খরচ নেই বললেই চলে। অল্প পুঁজি খাটিয়েই এই ব্যবসা করা যায়। লাভও ভাল হয় বলে জানালেন ওই খামারী।
নিয়ামতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ আঃ লতিফ জানান, হাঁসের মাংস ও ডিম উৎপাদনে সুষম খাবারের প্রয়োজন। এসব হাঁস বিলে ঘুরেঘুরে প্রাকৃতিক খাবার শামুক, ঝিনুক, জলজ উদ্ভিদ ও ফসলের উচ্ছিষ্ট অংশ খায়। এসব খাবারের মধ্যে সুষম খাবারের ছয়টি উপাদান বিদ্যমান থাকে। এর ফলে হাঁসগুলো খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় ও ডিম দেয় । প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণে একটা বড় অবদান রাখছে এই হাঁসগুলো। খামারিরাও কম খরচে এই হাঁস পালন করতে পারছেন।