কুড়িগ্রামের রৌমারী জমি সংক্রান্ত জেরে ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যার চেষ্টায় চাচাতো ভাইকে আটক করে থানায় মামলা


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরবেশ আলী (৫৫) নামের এক ইউপি চেয়ারম্যানকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগে চাচাতো ভাই তারা মিয়া (৪৪ কে) আটক করে থানায় সোর্পদ করা হয়। ২০ ফেব্রুয়ারী রবিবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার সায়দাবাদ গ্রামে চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত সরবেশ আলী সায়দাবাদ গ্রামের মৃত সাগর আলী দেওয়ানীর ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জমি সংক্রান্ত জেরে সকাল ৬ টার দিকে তারা মিয়া সরবেশ আলী চেয়ারম্যানের বাড়িতে যায় চাচাতো ভাই তারা মিয়া। সরবেশ আলীর কাছে তারা মিয়ার পাওনা জমি বিক্রয়ের টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে ধস্তা ধস্তির ঘটনা চেয়ারম্যানের হাত কেটে যায়। এবিষয় চেয়ারম্যান বলে পরে ঘরের ভিতরে গিয়ে দরজার ছিকল দিয়ে বলে আপনার সাথে কিছু জমির বিষয়ে কথা রয়েছে। পরে তারা মিয়া ব্যাগ থেকে চাকু বাহির করিয়া বলে আমার জমি আমাকে দিবে কি না।

এ কথার এক পর্যায়ে সববেশকে চাকু দিয়ে হত্যার চেষ্টা করলে তৎক্ষনাত চেয়ারম্যান হাত দিয়ে আটক করে তাকে রক্ষা করে। পরে তাদের চিৎকারে এলাকার ছুটে এসে তারা মিয়াকে আটক করে মারপিটের পর পুলিশের হাতে সোপর্দ করে। বর্তমানে উভয়ে রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

চেয়ারম্যান সরবেশ আলী বলেন, আমাকে হত্যার উদ্দ্যেশ্যে চাইনিজ কুড়াল নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে এবং ঘরের দরজার ছিকল দেয়। এ অবস্থায় আমাকে হত্যার চেষ্টা করলে আমি হাত দিয়ে চাইনিজ কুড়ালটা ধরি এবং ছিনিয়ে নেই। এ সময় আমার হাত ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে যায়। আমার চিৎকার শুনে আত্মীয়স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে তাকে আটক করে এবং পুলিশকে খবর দিয়ে আটককৃত তারা মিয়াকে সোপর্দ করেন।

অভিযুক্ত তারা মিয়া জানান, আমি হত্যা বা মারামারির উদ্দ্যেশ্যে সেখানে যাইনি। দীর্ঘদিন ধরে চেয়ারম্যান সরবেশ আলীর সাথে আমার পৈত্রিক জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সেটার সুরাহার উদ্দ্যেশ্যে চেয়ারম্যানের বাড়িতে যাই। কিন্তু আমার হাতে চাকু দেখে চেয়ারম্যান ভয় পান। এ সময় তিনি চাকু ধরার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তার এবং আমার হাত কেটে যায়। আমাদের চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন এসে আমাকে বেদম প্রহার করে এবং পুলিশের হতে তুলে দেয়।

অফিসার ইনচার্জ ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, সরবেশ আলী চেয়ারম্যান বাদী হয়ে একটি হত্যার চেষ্টার অভিযোগ দিয়েছে। এবং আসামিকে জনগণের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে আসামীকে জনগনের আঘাতে অসুস্থ থাকায় রৌমারী হাসপাতালে রয়েছে। সুস্থ হলেই কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হবে।