মাজহারুল ইসলাম, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ভারতে যেমন বঙ্গপাল, বাংলাদেশে এবার বিছা পোকার আক্রমনে দিশেহাড়া হয়েছে পরেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ। বিছা পোকার আক্রমনে ঘর ছেড়েছে অনেক পরিবার।
এলাকাবাসির অভিযোগ বিছা পোকার উদ্রবে অনেকেই ঘর ছেড়ে অন্যের বাড়িতে রাত্রিযাপন করছেন তারা। কৃষানিরা জানান রান্নাবান্না করে খাওয়ার মতো পরিবেশ না থাকায় অনেকেই ঘৃনা করে রান্না করা বাদ দিয়ে অন্যের বাড়িতে খানা খাচ্ছে।
এই ছ্যাঙ্গা পোকার আক্রমণেও তারা দিশেহারা হয়েে পরেছে বলে জানা গেছে। বাড়ির চারপাশে পাট চাষ করায় বিছা পোকার বিস্তার হয়েছে বলেও জানান তারা। ওই এলাকার ৮০ বছরে বৃদ্ধ বেলাল হোসেন দেওয়ানী বলেন এবছর বৃষ্টি না হওয়াটাই ছ্যাঙ্গা পোকা বৃদ্ধি পেয়েছেন।
যদি বৃষ্টি হতো তাহলে এত ছ্যাঙ্গা হইতো না। বৃষ্টি হলে ছ্যাঙ্গা পোকা জন্মগ্রহন করতে পারতনা। এই পোকার যন্ত্রনায় সারারাত ঘুমাতে পারিনা। জেগে জেগে রাত্রিযাপন করতে হচ্ছে। এদিকে বাড়ির গাছ ঘাছরা গুলো এই পোকা খেয়ে নেরা করে ফেলেছে।
এবং রোপা আমনের চারা গুলোর মাথা খেয়ে শেষ করেছে। এমন ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সায়েদাবাদ,কোমরভাঙ্গী,শিবেরডাঙ্গী,ধনারচরহস কয়েকটি গ্রামে। বিছাপোকার আক্রমনে অনেকেই ঘরছাড়া হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
কৃষানিরা বলছে রান্না করে ঘরে খাওয়া যাচ্ছেনা। ঘরের চারপাশে গর্ত করা হয়েছে গর্ত ভরে আবার ঘরে ঢুকে। ঘরের এমন কোন যায়গা নেইযে সেখানে ছ্যাঙ্গা পোকা নেই। সর্বপরি বিছা পোকা নিধনের দাবী জানিয়েছে তারা।
বিছা পোকা ও ছ্যাঙ্গা পোকার আক্রমণের ব্যাপারে রৌমারী উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা তোফায়েল হোসেন বলেন, এই উপদ্রব প্রতিবছরেই কমবেশি লেগে থাকে। এটি পাট গাছের কমন পোকা।
এ ব্যাপারে আমরা কৃষকদের কিভাবে পোকা দমন করা যাবে তার নির্দেশনা দিয়েছি। লিফলেটও বিতরণ করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।