কুড়িগ্রামের রৌমারী যেভাবে এক‌টি বাড়ী থেকে পাহাড়ী অজগর সাপটিকে আটক করতে হাজারো মানুষের ঢল


রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: গতকাল এক বাড়িতে ৮ ফিট লাম্বা একটি পাহাড়ী অজগর সাপ স্থানীয় সাপুড়ের হাতে আটক হয়। সাপটিকে আটক করতে প্রায় একঘন্টা সময় পেরিয়ে যায়। এদিকে সাপটি ডিসি রোড সংলগ্ন একটি বসবাসরত বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। হঠাৎ করে বাড়ীর মালিক পরিত্যক্ত ঘরের ভেতরে ঢুকেই উপরের দিকে তাকিয়ে দেখেন কেমন জানি মনে হচ্ছিল। তারপর ভালভাবে নজরে পরে অজগর সাপটিকে, তখন তিনি চিৎকার করে বলে বিশাল বড় সাপ ঢুকেছে ঘরে। 

ওই সময়টা কিন্তু হাটের সময় এই খবরে সায়েদাবাদ বাজারে থাকা হাটুরেরা সাপ দেখতে হাইলা হাল ছাড়ে, জেলেরা জালছাড়ে, বাচ্চার মা বাচ্চা রেখে, এভাবে হাজারো জনতার ঢল নেমে পড়ে। এতে একঘন্টা ব্যাপি রৌমারী টু ঢাকা মহাসড়কের যানচলাচল বন্ধ হয় যায়। এমন ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রাম জেলার, রৌমারী উপজেলার সায়েদাবাদ বাজার সংলগ্ন সায়েদাবাদ গ্রামের ফজলুল হকের বাড়িতে।

পরে রাজিবপুর উপজেলাধীন সদর ইউনিয়নের স্থানীয় দুর্দান্ত সাহসী সাপুড়ে ইউপি সদস্য আজাদ খান খবর পেয়ে ততক্ষনিক ঘটনাস্থলে হাজির হয়। তার সঙ্গে আরও দুজন সাপ ধরার ছাত্র ছিলো তিনজন মিলে ওই পাহাড়ী অজগর সাপটিকে ফলো করেন। সাপটি ঘরের ধর্নার উপরে কয়েকটি পরিত্যক্ত বাস ছিলো সেখানে আরামে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় প্রথমে সাপের মাঝখানে’ধরেন। মাঝখানে ধরার সঙ্গে সঙ্গে সাপটি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন বেড়ীয়ে যাওয়ার জন্য।পরে সাপটি মাথা বাহির করেই সাপুড়ে আজাদ খানের সহযোগী ছাত্রের ডান হাতে কামর দেয়।

কামড়ের সঙ্গে সঙ্গে রক্তে লাল হয় যায়, তখন অনেকেই হতাশাগ্রস্ত এবং দেখতে আসা মোটামুটি অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলো সাপুড়ের দিকে। আটক সাপের কামড়ে যদি সাপুড়ে মারা যায় এনিয়েই হতাশয় ছিলো হাজারো মানুষ। এবিষয় বাড়ীর মালিক ফজলুল হক জানান সাপটিকে দেখার সাথে সাথে আমি এবং আমার পরিবারের সকলই ভয়ে চিৎকার করে বাড়ী থেকে দৌড়ে গিয়ে হাটুরেদের জানাই। তারপর রাবিপুরের স্থানীয় সাপুড়ে আজাদ মেম্বরকে খবর দিলে তিনি এসে সাপটিকে দুর্সাহসীকতার পরিচয় দিয়ে আটক করতে সক্ষম হয় এজন্য সাপুড়ে আজাদকে ধন্যবাদ জানাই।

বিষয় রৌমারী বনবিভাগের কর্মকর্তা ইকবাল হাসান জানান আমি বিষয়টি জানিনা তবে বন্যা বেশি হওয়ার কারনে পাহাড়ী সাপ গুলো, আহাড় করার জন্য ভারত থেকে বাংলাদেশে নেমে আসছে বলে ধারনা করছেন তিনি।

সাপ ধরা সাপুড়ে আজাদ মেম্বার এর কাছে বক্তব্য চাইলে তিনি বলেন আমি বিভিন্ন এলাকায় হাজারো সাপ ধরেছি কিন্তু বক্তব্য দেই না। তারপর সাপুড়ে আজাদ আরো জানান এযাবৎ প্রায় ২ শত সাপে কামড়ানো আক্রান্ত লোককে সুস্থ্য করেছি কারর একটি টাকাও আমি নেইনা।