নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নিয়ামতপুরে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে আবাশিক দুটি বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা। দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ না থাকায় প্রচন্ড গরমে অসুস্থ্য হয়ে পড়েছেন ওই দু’বাড়ির বয়োজষ্ঠ্যরা। বন্ধ হয়ে গেছে শিশুদের সরকার প্রদত্ত “ঘরে বসে শিখি” শিক্ষা কার্যক্রম।
শনিবার বিকালে সামান্য ঘটনায় নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের টগরইল গ্রামের আশরাফুল ইসলাম ও দেরাশ আলীর বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীরা। সংযোগ বিচ্ছিন্নের পর দু’দিন ধরে অফিসে ধরণা দিয়েও মিলেনি তাদের সংযোগ। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, শনিবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ওই এলাকায় বিদ্যুতের লাইন সংস্কার ও লাইনের উপর থাকা বিভিন্ন গাছের ডাল-পালা কাটা কার্যক্রম চলছিল। এসময় ফলজ গাছের ডালপালা সহনীয় মাত্রায় কাটার অনুরোধ জানালে ক্ষিপ্ত হয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে নাচোল পল্লী বিদ্যুতের কর্মীরা।
ভুক্তভোগী দেরাশ আলীর ছেলে মাসুদ রানা জানান, ডাল কাটার সময় আম গাছের ডাল দেদারশে কাটতে থাকেন তারা। অবস্থা এমন পুরো গাছটি কেটে ফেলবে। এসময় তিনি, যে সব ডাল ক্ষতি করবে বা বিদ্যুতের তারের সাথে সংঘর্ষ ঘটবে সে সব ডাল কাটার অনুরোধ জানান। এছাড়াও একটি কলাগাছ কাটতে চাইলে গাছটির দ্বারা বিদ্যুতের তারের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকায় কলাগাছটি কাটতে নিষেধ করেন বিদ্যুৎ কর্মীদের।
এতে উত্তেজিত হয়ে যায় কর্মীরা। কথা কাটাকাটি শুরু হয় উভয়ের মধ্যে। এক পর্যায়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে তাদের বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে তারা। এমন অভিযোগ অপর ভুক্তভোগী আশরাফুলেরও। আশরাফুল জানান, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ থাকলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে তাদের।
এ ঘটনায় নাচোল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম আরব আলী শেখের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডাল কাটার সময় বিদ্যুৎ কর্মীদের সাথে অশোভনীয় আচরন করায় তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।