খালেদা জিয়াও হত্যার রাজনীতি থেকে বেরুতে পারেননি: তথ্যমন্ত্রী


খালেদা জিয়া ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে ২১ আগস্টে নিজ পুত্র তারেক রহমানকে দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বোমা হামলা চালিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াও হত্যার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ৭৫’র ১৫ আগস্ট আর ২১ আগস্টের ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। জিয়াউর রহমান হত্যার রাজনীতি বেছে নিয়েছিলেন, সে পথেই হাঁটেন বেগম জিয়াও।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেদা জিয়ার হুকুমে তারেক রহমানের সরাসরি নির্দেশে ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটানো হয়েছিলো। আলোচিত এ মামলার একজন সাক্ষী হিসেবে বলতে চাই, খালেদা জিয়াকে এ মামলায় হুকুমের আসামি করা হোক। এ দাবি সময়ের, এ দাবি জনগণের।’

রবিবার (২৩ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আইভি রহমান পরিষদ আয়োজিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমানের ১৬তম মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২১ আগস্টের নীলনকশা আগেই করা ছিলো। আমরা মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছিলাম, দেয়া হয়নি সেদিন। কারণ সেখানে বোমা হামলা করা যেতো না। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে অনুমতি দেয়া হলেও বড় বিল্ডিংয়ের ছাদে আমাদের নেতাকর্মীদের উঠতে দেয়া হয়নি। এ হামলার পর প্রতিবাদ জানানো হলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। সমস্ত আলামত নষ্ট করা হয় সরকারের নির্দেশে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি খুনের রাজনীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত একটি দল। জিয়াউর রহমান জাতির পিতাসহ পুরো পরিবারকে হত্যা করতে ৭৫’র ১৫ আগস্টের ঘটনা ঘটান। দেশবিরোধীদের মূল্যায়ন, বিরোধী মতকে দমন আর চৌকস মেধাবী অফিসারদের হত্যার মাধ্যমে নিজের ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করেন।’

পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, ‘স্বাধীনতার অর্জনকে ভুলুণ্ঠিত করতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জিয়াউর রহমান নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটান। সেদিন দেশে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান আজকের প্রধানমন্ত্রী। খুনিদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। আজকের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে জিয়া পরিবার ২১ আগস্টের ঘটনা ঘটান। সেদিনও আমাদের প্রাণের নেত্রীকে আল্লাহ বাঁচিয়ে দেন। ষড়যন্ত্র থেমে নেই, এই খুনিদের সাজা হওয়া দরকার, খালেদা জিয়ার বিচার হওয়া প্রয়োজন।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- আইভি রহমান পরিষদের উপদেষ্টা মো. আকরাম হোসেন, আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি বাবু নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু প্রমুখ।