গাজায় সাংবাদিক নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে


ছবি। সংগৃহীত

ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা বেড়ে ১০১ জন হয়েছে। শুধু সাংবাদিক নয়, ইসরায়েলি বাহিনীর নৃশংসতার শিকার সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরাও। খবর আল জাজিরার।

ডিসেম্বরের শুরুর দিকে ইসরাইলি হামলায় নিহত হন সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার আরবির সংবাদদাতা মোয়ামেন আল শরাফির পরিবারের ২২ সদস্য । গাজা উপত্যকার যে বাড়িতে শরাফির পরিবারের সদস্যরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, সেখানে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালালে তারা প্রাণ হারান।

নভেম্বরের শুরুতে জাবালিয়া শরণার্থীশিবিরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন গাজায় আল-জাজিরার ব্যুরো অফিসের সম্প্রচার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবু আল কুমসনের পরিবারের ১৯ সদস্য।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলি হামলায় সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস হয়ে গেছে গাজার ৫০ এর বেশি গণমাধ্যম অফিস। ঘর-বাড়ি ছাড়া করা হয়েছে শত শত ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ও তাদের পরিবারকে।

উত্তরের অফিসগুলোতে রিপোর্টিং সরঞ্জামগুলো ছেড়ে আসতে বাধ্য করা হয় গণমাধ্যমকর্মীদের। প্রতিকূল পরিবেশে সংবাদ সংগ্রহের সময় তাদের মোকাবেলা করতে হয় ঘন ঘন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার মতো কঠিন পরিস্থিতি।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনগুলোতে বলা হয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রে সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের জীবনের নিরাপত্তা বিধানের কথা। কিন্তু এ আইন লঙ্ঘন করেই চলছে ইসরায়েল।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা বলছে, কণ্ঠরোধ করার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের টার্গেট করছে ইসরায়েলি সেনারা।

সাম্প্রতিক সময়ে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মোহাম্মদ আবু হায়েদি। শনিবার পূর্ব গাজায় তার বাড়িতে ইসরায়েলি বাহিনী বিমান হামলা চালালে তিনি নিহত হন।

ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব জার্নালিস্টসের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি টিম ডসন গাজায় অস্বাভাবিক বেশি সংখ্যক সাংবাদিক নিহত হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, আমরা আর কোনো সংঘাতে এতো বিপুল সংখ্যক সাংবাদিকের মৃত্যু দেখিনি।