যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস বিমান হামলায় সাতজন দাতব্য সাহায্যকর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলো। ‘ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেন’ নামের এই বেসরকারি সাহায্য সংস্থাটি নৌকায় করে গাজায় সাহায্য সামগ্রী বিতরণ করে। গত সোমবার ইসরায়েলের বিমান হামলায় সংস্থাটির অস্ট্রেলীয়, ব্রিটিশ, ফিলিস্তিন, পোলিশ ও মার্কিন-কানাডিয়ান কর্মীরা নিহত হয়। খবর এএফপির।
জো বাইডেন আরও বলেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবিক ত্রাণ কার্যক্রম চালানো ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছে, কেননা ইসরায়েল বেসামরিক লোকজনকে সাহায্য সামগ্রী পৌঁছানোর সময় সাহায্যকর্মীদের রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, এই ভূখণ্ডে সাম্প্রতিক যুদ্ধে এ পর্যন্ত ২০০ সাহায্যকর্মী নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ১৭৫ জনই জাতিসংঘের কর্মী।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এক ভাষনে গুতেরেস বলেন, ‘এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করল, এই মুহূর্তে মানবিক যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, শর্ত ছাড়াই সব পণবন্দিকে মুক্ত করা প্রয়োজন এবং গাজায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমকে আরও ছড়িয়ে দিতে হবে।’
এদিকে আজ বুধবার (৩ এপ্রিল) ইসরায়েলের সেনাবাহিনী স্বীকার করেছে, তারা একটি বড় ধরনের ভুল করেছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান হার্জি হালেভি এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘এটা কখনোই হওয়া উচিত নয়।’ তিনি এই ঘটনার জন্য রাতের জটিল পরিস্থিতিতে শনাক্তকরণে ভুলকেই দায়ী করেছেন।
ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ইসাক হারজগ এক বার্তায় ওয়ার্ল্ড সেন্ট্রাল কিচেনের প্রতিষ্ঠাতা জোসে আন্ড্রেসের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জীবনহানির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘এই হামলা ছিল অনিচ্ছাকৃত।’ পুরো ঘটনাকে ‘বিয়োগান্তক’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি এর জন্য ক্ষমাও চান।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক জানান, তিনি সাহায্যকর্মীদের মৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখিত ও শোকাহত।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফান সেজার্নে বলেন, ‘এই ধরনের বিয়োগান্তক ঘটনা কোনো যুক্তির মাধ্যমেই বিচার করা যায় না।’