তানোর প্রতিনিধি : তানোরের মুন্ডুমালা গীর্জায় আদিবাসী কিশোরীকে ৩ দিন আটকে রেখে ধর্ষণকারী ফাদার প্রদীপ গ্রেগরীর সর্বোচ্চ শাস্তি ও ধর্ষককে সহায়তাকারীর মুল হোতা মুন্ডমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন কর্মসুচী পালন করেছে মাহলে স্টুডেন্টস কাউন্সিল।
শনিবার(৩ অক্টোবর) বেলা ১১ টা থেকে ঘন্টাব্যাপী মুন্ডমালা বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এসব দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখে মাহলে স্টুডেন্ট কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক সৌমিত্র ডুমরি সাসু, রাজশাহী মহানগর সহ-সভাপতি সুবল কিস্কু, সান্তাল ছাত্র ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদিপ মার্র্ডী, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী সাংগঠনিক সম্পাদক দিলিপ মার্ডী প্রমুখ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় বক্তরা বলেন, ধর্ষক ফাদার প্রদিপ গেগরীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সাথে শালিসের নামে বিষয়টি ধাপাচাপা দেয়া চেষ্টার মুল হোতা মুন্ডুমালা সরকারী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে।
বক্তারা আরো বলেন, কামেল মার্ডির প্রত্যক্ষ সহযোগীয় ধর্ষনকারী ফাদার প্রদীপ গ্রেগরী ঘটনাস্থল থেকে পালাতে সক্ষম হয়, তিনি হাস্যকর সালিশ করে বিষয়টা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। বক্তারা, ভুক্তভোগী আদিবাসী কিশোরী ও তার পরিবারের নিরাপত্তার দাবি জানান।
বক্তাদের দাবি, ধর্ষন যারা করে আর যে সহায়তা করে তাদের একই শাস্তি, তাহলে সহায়তারীরা কেন ছাড় পাচ্ছেন ?। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ অবিলম্বে কামেল মার্ডীকে আইনের আওতায় আনা হোন। তারা বলেন, ধর্ষকসহ সহায়তা কারীদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। আগামী রোববার ও সোমবার মুন্ডুমালা বাজারে তারা আবারো মানববন্ধন করার ঘোষনা দেন।
উল্লেখ্য, তানোর উপজেলার মুন্ডমালা মাহালীপাড়া সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গির্জার ফাদার প্রদীপ এলাকার আদিবাসী খ্রিস্ট্রান সম্প্রদায়ের এক কিশোরীকে আটকে রেখে ৩দিন ধরে ধর্ষন করেন।
গত শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির পাশে ওই গির্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হয় ওই কিশোরী, অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাকে না পেয়ে পরদিন রোববার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার ভাই। এরপর সোমবার দুপুরের পর জানা যায়, নিখোঁজ কিশোরী গির্জার ফাদার প্রদীপের ঘরে বন্দি অবস্থায় আছে। পরে কিশোরীর পরিবারের সদস্য এবং এলাকার লোকজন ওই কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
এরপর সোমবার সন্ধ্যায় মুন্ডমালা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামেল মার্ডীর নেতৃত্বে গির্জার ভেতরেই শালিসি বৈঠকে কিশোরীর পরিবারকে ২হাজার টাকা দিয়ে ফাদারকে পালাতে সহায়তা করে ঘটনা ধামা চাপা দেন তিনি। এঘটনায় তানোর থানায় মামলা দায়ের পর রাজশাহী থেকে ফাদারকে র্যাব গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করলেও ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে জান ধর্ষককে সহায়তাকারী কামেল মার্ডী।