গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না, এখন বগুড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র: প্রধানমন্ত্রী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহে সরকার কোনও বৈষম্য করছে না। বিএনপি যখন ক্ষমতায়, গোপালগঞ্জে বিদ্যুৎ পেতাম না। জেনারেটর চালিয়ে বাতি জ্বালাতে হতো। আমরা ক্ষমতায় আসার পর এমন কোনও বৈষম্য করিনি। যে কারণে বগুড়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্র করে দিয়েছি।’

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়াল ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে দেশের ১৮ জেলার ৩১টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়নের উদ্বোধন করে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় দুটি পাওয়ার প্ল্যান্ট, ১১টি গ্রিড সাব-স্টেশন, ৬টি নতুন সঞ্চালন লাইনও উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় আসার পর আমাদের প্রধান চেষ্টা ছিল রাস্তাঘাটের উন্নয়ন ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা। শুধু বাতি জ্বেলে বসে থাকা নয়, বিদ্যুৎ সরবরাহের মধ্য দিয়ে আমরা কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও একটা সুযোগ সৃষ্টির চেষ্টা করেছি।’

‘২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকে আমরা এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছি। বিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রাহক বাড়িয়েছি’- যোগ করেন সরকারপ্রধান।

তিনি সবাইকে বিদ্যুতের অপচয় বন্ধের আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ যা হয় তার চেয়ে কম দামে সরবরাহ করা হচ্ছে। সরকার ভর্তুকি দিচ্ছে। তাই গ্রাহকদের বলবো, অপচয় করবেন না। বিলটাও কম আসবে। এটা আমার বিশেষভাবে অনুরোধ।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব স্থানে যাতে বিদ্যুৎ পৌঁছায় সেজন্য সৌরবিদ্যুতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মুজিববর্ষে ২০২০ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে আমরা সব ঘরে আলো জ্বালবো।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ২০৪১ সালের মধ্যে দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সরকার। শহরের পাশাপাশি গ্রামের মানুষও যাতে বিদ্যুৎ পায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এসময় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার মন্ত্রণালয়ের কার্যালয় থেকে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ২৭টি জেলার প্রতিনিধিরাও ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।