চাঁদাবাজি ও মারপিটের মামলায় কাউন্সিলর বনরাজসহ গ্রেফতার ৪


নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁয় চাঁদাবাজি ও মারপিটের মামলায় নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় থানা অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নওগাঁ পৌরসভার ৫ নং ওর্য়াডের কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ (৫১), আবু রিহান (১৯), রাসেল হোসেন (২০) ও হৃদয় মন্ডল (২০)।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ শহরের খাস নওগাঁ এলাকায় আজাদ সোনারের বাড়িতে রিপন মন্ডল (২৯) নামে এক ব্যক্তি ১ মাস আগে বাড়ি নিয়ে তার স্ত্রী দিলরুবা খাতুন সান্তনাকে নিয়ে বসবাস করছিল। রবিবার দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ তার দলবল নিয়ে রিপন মন্ডলের ভাড়া করা বাড়িতে গিয়ে রিপনসহ তার স্ত্রীকে অপবাদ দিয়ে বলেন, তোমরা স্বামী-স্ত্রী সেজে এ বাড়িতে দেহ ব্যবসা করছো।

এরপর তাদেরকে বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রেখে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সময় দিয়ে বিয়ের কাগজ পত্র চেয়ে চলে যায়। পরে কাউন্সিলর তার দল বল নিয়ে পুনরায় বাড়িতে এসে বিয়ের কাগজ চাইলে রিপন তার বিয়ের কাগজ পত্র দেখান। কিন্তু তারপরও কাউন্সিলর বনরাজসহ তার দলবলেরা তাদেরকে মারপিট করেন। এক পর্যায়ে কাউন্সিলর বনরাজ রিপনকে বলে, এখানে বাস করতে হলে তাকে নগদ ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে হবে নইলে তাদের পরিণাম খুব খারাপ হবে।

এ সময় রিপনের স্ত্রী দিলরুবা খাতুন সান্তনা পুলিশকে সংবাদ দিলে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে আসা মাত্রই আসামীরা পলিয়ে যায়। নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহওয়ারর্দী হোসেন জানান, রবিবার সন্ধ্যায় রিপন মন্ডল বাদী হয়ে কাউন্সিলরসহ ৯ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 

সন্ধ্যায় পুলিশ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কাউন্সিলর গোলাপ রহমান বনরাজ, আবু রিহান, রাসেল হোসেন, হৃদয় মন্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। আজ সোমবার গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। বাঁকী আসামীদেরর গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।