চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩৫ জন করোনা আক্রান্ত


ফয়সাল আজম অপু: চাঁপাইনবাবগঞ্জে সাংবাদিক,পুলিশ, র্যাব, ডিবি, এনএসআই, ডাক্তার, রাজমিস্ত্রী, ব্যাংকার, সেলসম্যান, ইউপি সচিব, ব্যবসায়ী, শিক্ষক, গাড়ী চালক, শিক্ষার্থী, গৃহিণী, নেসকো কোম্পানির কর্মকর্তা ও শিশুসহ গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩৫ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে জেলায় মোট ১৫৭ জন আক্রান্ত হলো। যার অধিকাংশ সুস্থ্য হয়েছেন।
জেলা সিভিল সার্জন ও গোয়েন্দা সংস্থা সূত্র মতে, নতুন আক্রান্তরা সকলেই সুস্থ্য ও ভালো আছেন। তারা নিজ নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন এ আছে। জেলা প্রশাসন থেকেও সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নতুন আক্রান্তরা বিভিন্ন এলাকার। তারা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর এলাকার পুরাতন বাজার কাপড় পট্টিতে এক ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন এ আছেন জেলা ডিবি পুলিশে কর্মরত এক এএসআই।
গোয়েন্দা শাখা ডিবি পুলিশের আরেক অফিসারের স্ত্রী ও ১২ বছরের মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারা পৌর এলাকার শাহীবাগে ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন এ আছেন। গোয়েন্দা শাখার আরেক কনস্টেবল আক্রান্ত হয়েছে। তিনিও শাহীবাগে আছেন।
এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় কর্মরত এক এসআই এর স্ত্রী ও তার ২ বছরের ছোট্ট শিশুটিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পৌর এলাকার মিস্ত্রী পাড়ায় ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন এ আছেন তারা। এ ছাড়া পুলিশ হাসপাতালের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে। তিনি পৌর এলাকার পাঠানপাড়া মহল্লায় নিজ বাড়িতে আছেন।
অন্যদিকে র্যাব চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের ৩ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছে। তারা দ্বারিয়াপুরে ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডের স্বরুপনগর সিসিডিবি মহল্লার একজন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি সদর উপজেলা পরিষদের একজন কর্মচারী। পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের পাঠানপাড়া মহল্লায় এক শিশুও আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়াও ১ নং ওয়ার্ডের ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের একজন বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি রহনপুর এলএসডি খাদ্য গুদামের সহকারী খাদ্য পরিদর্শক।
একই ওয়ার্ডের নয়নশুকা গ্রামের এক রাজমিস্ত্রী আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া ২ নং ওয়ার্ডের ১৭ নং দাউদপুর রোডের বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি নেসকো কোম্পানির উচ্চমান সহকারী। তারা সকলে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
গোবরাতলা ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের অরুনবাড়ী মহিপুরের বাসিন্দা শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আক্রান্ত হয়েছেন। পৌর এলাকার ২ নং ওয়ার্ডের বাসুনিয়া পট্টির একজন কাপড় ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া ১৩ নং ওয়ার্ডের মিস্ত্রিপাড়ার এক শিক্ষার্থী আক্রান্ত হয়েছে। তারা সকলে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার হরিপুর ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তিনি ন্যাশনাল ব্যাংকে কর্মরত আছেন। একই ব্যাংকের আরো ২ জন কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছে। তারা সোনার মোড় হরতকিতলায় ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
এ ছাড়াও মার্কেন্টাইল ব্যাংকের এক কর্মকর্তাও আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুরে। ইসলামি ব্যাংক রহনপুর ব্রাঞ্চের কর্মকর্তা আক্রান্ত হয়েছে। তিনি শিবগঞ্জ এর বিনোদপর ইউনিয়নের একবরপুর ৭ নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়িতে আছেন।
শিবগঞ্জ পৌর এলাকার ৪ নং ওয়ার্ডের দৌলতপুর মহাজনপাড়ার এক ঔষধের দোকান মালিক আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। এ ছাড়াও ৫ নং ওয়ার্ডের বাগাটুলি মহল্লার এক গৃহবধূ আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে। একই এলাকার শিবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিদর্শকও আক্রান্ত হয়েছে। এরাও নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন।
শিবগঞ্জ উপজেলার দূর্লভপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের জগন্নাথপুর এলাকার একজন ব্যবসায়ী আক্রান্ত হয়েছে। ছত্রাজিতপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের যুক্তরাধাকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি মনাকষা ইউনিয়ন পরিষদের সচিব। একই এলাকার বাসিন্দা শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
মনাকষা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের রানীনগর গ্রামের এক রাজমিস্ত্রী আক্রান্ত হয়েছে। এ ছাড়া সুপারস্টার কোম্পানির সেলসম্যান আক্রান্ত হয়েছেন। তার বাড়ি গোমস্তাপুরের চৌডালা বেনীচক ৬ নং ওয়ার্ডে। গোমস্তাপুর পিএম আইডিয়াল কলেজের দপ্তরী আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি রহনপুর পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডের উদয়নগর মহল্লায়।
করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুলতানা পাপিয়ার গাড়ী চালক। তার বাড়ি বারঘরিয়া ৫ নং ওয়ার্ডের জামাদারপাড়ায়। এ ছাড়া ভোলাহাট উপজেলার খাড়োবাটরা গ্রামের এক ব্যাগ দোকানের মালিক ও সাংবাদিক আক্রান্ত হয়েছে করোনা ভাইরাসে।