রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদায় ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন


প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ সেই অমর একুশে, মহান দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ পালন করা হয়। প্রথম প্রহর ১২.০১ টায় নিউ গভঃ ডিগ্রী কলেজ, রাজশাহী’র শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বুকে শোকের প্রতীক কালোব্যাজ ধারণ করে ১ মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরু হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও সম্মান প্রদর্শন করা হয়। সকাল ০৯.১০ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এঁর প্রতিকৃতিতে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে সাথে নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ১ মিনিট নিরবতা পালন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম।

সকাল ০৯.৩০ টায় রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ‘শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় কমিশনার, রাজশাহী বিভাগ, রাজশাহী ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর এবং সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. অলীউল আলম। পবিত্র কোরআন ও পবিত্র গীতাপাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব মো. আরিফুল ইসলাম। আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের সচিব জনাব মো. হুমায়ূন কবীর, কলেজ পরিদর্শক জনাব মো. এনামুল হক, বিদ্যালয় পরিদর্শক জনাব মহা. জিয়াউল হক, সিনিয়র সিস্টেম এনালিষ্ট(চলতি দায়িত্ব) প্রকৌশলী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি জনাব মোহা. হুমায়ন কবীর।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন- কেবলমাত্র ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার প্রাপ্তি, স্বাধীনতা অর্জন এবং পরবর্তী সময়ে একুশের চেতনায় বাংলা ভাষা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্থান লাভ করেছে- যা জাতি হিসেবে আমাদের বড় অর্জন ও গৌরবের। প্রধান অতিথি ইতিাহাসের আলোকে শহিদ দিবস ও মহান স্বাধীনতা দিবসের গৌরবোজ্জ্বল চালচিত্র নানা তথ্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন।

সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বাংলা ভাষা সম্পর্কে ইতিহাসভিত্তিক আলোচনা করেন। তিনি বলেন- অমর একুশের অবিনাশী চেতনা আমাদের যুগিয়েছে স্বাধিকার, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অফুরন্ত প্রেরণা ও অসীম সাহস। ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিকশিত বিজ্ঞানমনস্ক একটি আধুনিক প্রজন্মই পারে দেশি-বিদেশি এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ লক্ষ্যেই সাহসিকতার সাথে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। আশা করি আমরা সকলেই এই প্রচেষ্টার সাথে দৃঢ়ভাবে সম্পৃক্ত থাকবো।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান মূল্যায়ন অফিসার (চলতি দায়িত্ব) জনাব এস. এম. গোলাম আজম। এছাড়া বোর্ডের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বত:স্ফুর্তভাবে এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে সাফল্যম-িত করেন।

পরে বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড মসজিদে শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মিলাদ মাহ্ফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন বোর্ড মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ মো. জিয়াউর রহমান।