ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্তা এক মায়ের আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে জীবিত শিশুকে মৃত বলে ঘোষনা দেন ডাঃ রসনা বর্মন রোজ। শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধায় ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের পাশের সুরক্ষা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
রোগীর তথ্যমতে জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে জয়ন্ত তার স্ত্রী লিপি রাণীকে (২৮) নিয়ে বালিয়াডাঙ্গীর লাহিড়ী হাট থেকে ঠাকুরগাঁও শহরের সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারে আসেন প্রসুতি মায়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে। সুরক্ষা ডায়গোনোস্টিক সেন্টারের ডাঃ রসনা বর্মন রোজ অন্যান্য পরীক্ষার পাশাপাশি লিপি রাণীকে জরুরী ভিত্তিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন।
ডাঃ রসনা নিজেই আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করে পেটের বাচ্চা মৃত ঘোষনা করে লিখিত রিপোর্ট দেন এবং বাচ্চা অপসারনের জন্য দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন।
রোগী এ রিপোর্টে সন্তুষ্ট না হয়ে অপর আরেকটি বেসরকারী ডায়গনস্টিক সেন্টারে পুনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করালে সনোলজিস্ট ডাঃ মো: শাহ আজমির রাসেল পেটের বাচ্চা জীবিত এবং সুস্থ্য আছেন বলে পুনরায় রিপোর্ট দেন।
এ অবস্থায় গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাঃ এম আর রেজাকে দেখালে তিনিও একই মত দেন এবং বলেন প্রসুতি মায়ের জরায়ু মুখ খুলে যাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই প্রসব করানোর প্রস্তুতি নিতে বলেন।
গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ মতে রোগীর অভিভাবক তৎক্ষনাত সে ব্যাবস্থা গ্রহণ কররে ওইদিন রাতেই সুস্থ্য বাচ্চা প্রসব করেন লিপি রাণী।
লিপি রাণীর স্বামী জয়ন্ত জানান, আমার স্ত্রীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে সন্তানকে মৃত ঘোষণা করলে আমার তা বিশ্বাস না হওয়ায় অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে পুনরায় পরীক্ষা করি এবং আমার স্ত্রী সন্তানকে সুস্থ্য অবস্থায় ফিরে পাই। আমার মত কেউ যেন এ ধরনের হয়রানীর শিকার না হয় সে ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে ডাঃ রসনা বর্মন রোজ এর মুঠো ফেনো যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রোগীর শারিরীক অবস্থা ক্রিটিক্যাল ছিল, সেই সাথে ল্যাবার পেইন সহ হাত এবং পা ফোলা ছিল। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট সন্দেহ হওয়ায় রোগিকে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন ডাঃ মাহফুজার রহমান সরকার জানান, বিষয়টি আমি দেখছি।