ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের জমিদারপাড়ায় অনেক পুরনো এই শতবর্ষী পরিত্যক্ত বাড়িটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারনে আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা। নানান রকমের লতাপাতা-পরগাছায় ছেয়ে গেছে ভবনের চার পাশ। ভবনের ভেতরের পরিত্যক্ত অংশে সন্ধার পরই বসে মাদক ও জুয়ার আড্ডা। প্রতি রাতেই সেখানে মাদক সেবীদের আড্ডা ও চিৎকারে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত শতবর্ষী এ ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পরে আছে। ভবনের চা পাশে লতাপাতা আর পরগাছা এমন ভাবে ছেয়ে গেছে যে দূর থেকে মনে হবে কোন ভূতরে বাড়ি। ভবনের ইট গুলোর অবস্থা এতোটাই নাজেহাল যে হাত দিলেই মাটিরে পরে গড়াগড়ি খাওয়া অবস্থা । ভবনের পাশ দিয়ে চলাচলের সময় অনেক পথচারীর মাথায় ইটও খসে পরেছে। পরিত্যক্ত ভবনের কক্ষ গুলোতে পড়ে আছে অসংখ্য ফেন্সিডিল ও মদের বোতল। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেই বসে মাদক ব্যবসায়ীদের আড্ডা। অনেক সময় এই ভবনে হয় অনৈতিক কর্মকাণ্ড।
স্থানীয়রা জানান, পরিত্যক্ত ভবনটির বয়স প্রায় ১শ বছরেরও বেশি। ভবনটিতে বসবাস করতেন বদরোদ্দোজা চৌধুরী নামের এক পরিবার। পরবর্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে ৫ শতক জায়গার উপরে নির্মিত ভবনটি অধিগ্রহন করা হয়। পরে ভবনটি ভুমি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ভবনটি এতটাই জরাজির্ন অবস্থায় রয়েছে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ভবনটিতে বিভিন্ন ধরনের জঙ্গলী গাছপালা থাকায় সাপ ও বিভিন্ন ক্ষতিকারক কীট পতঙ্গে ভরে গেছে। মাঝে মাঝেই বিষাক্ত সাপ চোখে পরে।
স্থানীয়রা আরও জানান,সন্ধার পরে এখানে মাদক ও জুয়ার আসর বসে। রাত যতই বাড়ে মাদকসেবী ও জুয়ারুদের চিৎকার-চেচামেচিতে এলাকাবাসী অতীষ্ঠ হয়ে পরেছে। আর অনেক সময় ভবনে ভিতরে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কাজ হয়। তাই ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ অথবা অন্য কোন কাজে লাগানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিনুল ইসলাম জানান, ইতিমধ্যে পুরনো ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিস্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে।