তরুণ প্রজন্মের মধ্য থেকে সৎ ও যোগ্যরা যদি রাজনীতির মূলধারায় যুক্ত হতে না পারেন, তবে চলমান রুগ্ন অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, ‘সুস্থ ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তরুণ প্রজন্মকে রাজনীতিতে উৎসাহী করতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।’
শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং মেধাবী রাজনীতিক জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার বিশিষ্ট যুব সংগঠক ছালাহ্ আল বান্না’র বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ’এ যোগদান করায় তাকে স্বাগত জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘জনগণপ্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাজনীতিকেরাই মূলত একটি দেশের নীতিনির্ধারক ও দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়োজিত। একজন মেধাবী ও দক্ষ নাবিক যেমন সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়ে জাহাজকে তাঁর কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যের দিকে নিয়ে যান, তেমনই কোনও দেশের রাজনীতিকেরা সৎ ও বিচক্ষণ হলে সে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়, গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রুপ পায় এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। আর এর বিপরীত কিছু ঘটলে সে দেশকে প্রতিনিয়তই যে ধুঁকে ধুঁকে চলতে হয়, যা বর্তমানে সমগ্র জাতি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছে।’
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ন্যাপ চায় দেশের রাজনীতিতে দূষণের মাত্রাটা এমন পর্যায়ে নেমে আসুক, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে গিয়ে রাজনীতিবিদ হওয়ার ব্যাপারটাও মাথায় রাখতে পারে। রাজনৈতিক অসচেতনতার কুফল ব্যক্তি, সমাজ, রাষ্ট্র সবাইকে সমভাবে বহন করতে হয়। রাজনৈতিক অসচেতনতার কুফল বর্ণনা করতে গিয়ে প্লেটো বলেন- “রাজনীতিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য একটি দণ্ড হচ্ছে যে আপনি আপনার চেয়ে কম যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা শাসিত হবেন”।’
তিনি বলেন, ‘তরুণদের মধ্যে এই যে রাজনীতির প্রতি অনীহা বা বিমুখতার দায় তা কি শুধু তরুণ সম্প্রদায়েরই? অবশ্যই না, এর দায় রাষ্ট্র নিজেও কখনও এড়াতে পারে না। ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে শিক্ষাঙ্গনে গণতান্ত্রিক চর্চা ব্যহত করা, ছাত্র রাজনীতির নামে দলীয় লেজুড়বৃত্তি, শক্তি প্রদর্শনের মহড়া, টেন্ডারবাজী, ছাত্র রাজনীতির নেতৃত্ব অছাত্রদের হাতে তুলে দেয়া, বেকারত্ব বৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের অভাব প্রভৃতি বিষয়গুলো তরুণদের করেছে হতাশ, করেছে রাজনীতি বিমুখ। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় এই সব অনাকাঙ্ক্ষিত সংস্কৃতি চালুর দায় রাষ্ট্র কখনই এড়াতে পারে না।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ন্যাপ ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু।